মঙ্গলবার ১ জুলাই ২০২৫ ১৭ আষাঢ় ১৪৩২
মঙ্গলবার ১ জুলাই ২০২৫
ডোমারের সাবেক এমপি ও সাবেক ওসির নামে মামলা দায়ের
ডোমার (নীলফামারী) প্রতিনিধি
প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ১২ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ৮:০৮ PM
বিএনপির নেতা কর্মীদের উপর হামলা মারধর ও চাঁদা দাবীর অভিযোগে নীলফামারী-১ আসনের (ডোমার-ডিমলা) সাবেক এমপি বীর মুক্তিযোদ্ধা আফতাব উদ্দিন সরকার  ও ডোমার থানার সাবেক ওসি মো. মোয়জ্জেম হোসেনের নামে আদালতে মামলা হয়েছে।

বৃহষ্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ডোমার আমলী আদালত নীলফামারীতে মামলা দাখিল করলে বিচারক আমলে নিয়ে ডোমার থানাকে এফআইআর করে তদন্তের নির্দেশ প্রদান করেন। 

মামলাটি দায়ের করেছেন ডোমার উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও তৎকালীন উপজেলা যুব দলের সিনিয়র যুগ্ন আহবায়ক মোঃ মাসুদ বিন আমিন সুমন। মামলার বাদী পক্ষের আইনজীবি আবু মো. সোয়েম সরকার মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। 

মামলার অভিযোগে বাদী দাবী করেছেন ১নং আসামী  সাবেক এমপি আফতাব উদ্দিন সরকার তৎকালীন বিরোধী রাজনৈতিক দল বিএনপির নেতা কর্মীদের হয়রানী করার উদ্যেশ্যে মামলার ২নং আসামী তৎকালীন সময়ের ওসি মোয়াজ্জেম হোসেন এর সহিত গোপনে শোলা পরামর্শ করে বিএনপি ও অংঙ্গ সংগঠনের নেতা কর্মীদের উপর মামলা হামলাসহ নির্বিচারে নির্যাতন শুরু করে। এবং তাহাদেরকে ধরে থানায় নিয়ে এসে চাঁদার টাকা আদায় করতে থাকে। চাঁদার টাকা না দিলে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করা হতো। 

এরই পরিপ্রেক্ষিতে বিগত ২০১৫ইং সালের ১৪ই মার্চ সন্ধ্যায় ডোমার শহরের কৃষি ব্যাংক সংলগ্ন সাধন ভৌমিকের চায়ের দোকানে তৎকালীন যুবদল নেতা মাসুদ বিন আমিন সুমন যুবদল নেতা হারুন, পারভেজ ও রতন আলীসহ চা খেতে আসেন। সেই সময় ওসি মো. মোয়াজ্জেম হোসেন ৩০-৪০জন পুলিশ সদস্যসহ দোকানে এসে তাদেরকে চায়ের দোকান থেকে বের করে মাসুদ বিন আমিন সুমনের উপর কোন কারণ ছাড়াই লাঠি ও বন্দুকের বাট দিয়ে বেধড়ক মারধর করতে থাকে। এসময় তারা সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার নাম ধরে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। 

সেই সময় স্থানীয় বিএনপি কর্মী ও যুবদল নেতারা প্রতিবাদ করিলে ওসি মোয়াজ্জেম তাহার পুলিশ সদস্যরা মামলার বাদী সুমন এবং যুবদল নেতা হারুন,পারভেজ ও রতন আলীকে লাঠী পেটা করিতে থাকিলে সুমন মাটিতে লুটিয়া পড়ে। তখন পুলিশ সদস্যরা তাকে চ্যাংদোলা করে যুবদল নেতা হারুন পারভেজ ও রতন আলীকে পুলিশ ভ্যানে করে ডোমার থানায় নিয়ে আসে। ডোমার থানায় নিয়ে আসার পর ওসি মোয়াজ্জেম মামলার ১নং আসামী সাবেক এমপি আফতাব উদ্দিন সরকারের নির্দেশ পেয়ে মাসুদ বিন আমিন সুমনের নিকট ১০লক্ষ টাকা চাঁদা দাবী করে। 

চাঁদা না দিলে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী করার হুমকী দেয়া হয়। মাসুদ বিন আমিন সুমন চাঁদা দিতে অস্বীকার করিলে ওসি মোয়াজ্জেম লাঠি দিয়ে তাকে এলোপাথারী মারডাং করতে থাকে। এবং হুমকী দেয় যে ডোমার ডিমলায় বিএনপির লোকজন রাজনীতি করতে পারবে না। এখানে আওয়ামীলীগের এমপি আফতাব ছাড়া কারো কথা বলা যাবে না বলে তাকে কিল ঘুষি মেরে হাজত খানায় আটকে রাখে। এর কিছুক্ষণ পর ওসি মোয়াজ্জেমের নির্দেশে ১জন পুলিশ সদস্য মামলার বাদী সুমনের বুকে বন্দুক ঠেকাইয়া হুংকার দিয়ে বলে এই দেশে বিএনপির থাকার কোন অধিকার নেই। তোকে ক্রস ফায়ার করে দিবো। বিএনপির কর্মীদের থাকতে হইলে চাঁদা দিতে হবে। তা নাহলে মেরে লাশ গুম করে দিবো। 

চাঁদা না দেয়ায় ঘটনার পরের দিন ১৫ মার্চ তাহাদের চোখ বেধে হাতকড়া পড়াইয়ে চারজনকে নীলফামারীতে নিয়ে আসে। এবং অগ্নিসংযোগ ভোট কেন্দ্রে হামলা ও নাশকতার ২টি মিথ্যা মামলা দেওয়া হয় তাদের নামে। এখনো তারা সেই মামলায় নিয়মিত হাজিরা দিয়ে আসতেছে। সাবেক এমপি আফতাব উদ্দিন সরকারের নির্দেশে ২নং আসামী ওসি মোয়াজ্জেম এর পরিকল্পনায় অজ্ঞাত নামা ৩০-৪০জন আসামী সুমনসহ ৪জনকে অবৈধ ভাবে আটক করে হত্যার উদ্দ্যোশ্যে মারধর করে এবং মৌলিক অধিকার হরণ পূর্বক চাঁদা দাবী করে ক্রস ফায়ারের উদ্দ্যেশ্যে বন্দুকের নল তাক করে অপরাধ করেছেন বলে জানান মামলার বাদী মাসুদ বিন আমিন সুমন।

এ ব্যাপারে সাবেক এমপি আফতাব ও সাবেক ওসি মোয়াজ্জেম হোসেনকে মুঠো ফোনে একাধিক বার কল দেওয়া হলেও ফোন বন্ধ থাকায় তাদের মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ
সম্পাদক ও প্রকাশক:
মো. আশরাফ আলী
কর্তৃক এইচবি টাওয়ার (লেভেল ৫), রোড-২৩, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২।
মোবাইল : ০১৪০৪-৪০৮০৫২, ০১৪০৪-৪০৮০৫৫, ই-মেইল : thebdbulletin@gmail.com.
কপিরাইট © বাংলাদেশ বুলেটিন সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত