যৌথ বাহিনীর গ্রেপ্তার অভিযানে ময়মনসিংহে সাইদুল ইসলাম (৪০) নামে এক যুবদল নেতা নিহত হয়েছেন।
নিহত সাইদুল ইসলাম মহানগর যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। তিনি নগরীর গোলপুকুর পাড় এলাকার বাসিন্দা আব্দুস ছালামের ছেলে। সোমবার দিনগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে নগরীর গোলপুকুর পাড় এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
সূত্র জানায়, বিগত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর সাইদুল ইসলামের বিরুদ্ধে জমি দখল, বালুর ঘাট দখল, স্থানীয় ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে চাঁদাবাজি, অস্ত্র প্রদর্শনসহ নানা অপকর্মের অভিযোগ ওঠে। এসব ঘটনায় সম্প্রতি যৌথ বাহিনীর কাছে একাধিক অভিযোগ দায়ের হলে সোমবার দিনগত রাত ১০টার দিকে সাইদুল ইসলামকে গ্রেপ্তারে অভিযান চালায় যৌথ বাহিনীর একটি দল। এতে আটক হন সাইদুল।
আরও জানা যায়, যৌথ বাহিনীর সদস্যদের বেধরক মারপিটে ঘটনাস্থলেই যুবদল নেতা সাইদুলের মৃত্যু হয়। পরে রাত দেড়টার দিকে সাইদুল ইসলামকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে ক্লিনিক্যালি মৃত বলে ঘোষণা করেন।
নিহত যুবদল নেতা সাইদুল ইসলাম
হাসপাতালে জরুরি বিভাগে দায়িত্বরত কর্মচারীরা জানায়, রাত ১টার দিকে যৌথ বাহিনীর সদস্যরা ৬ জনকে আহত অবস্থায় ভর্তি করে। পরে তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে নিয়ে যায় যৌথ বাহিনীর সদস্যরা।
প্রাথমিক চিকিৎসা নেওয়া ব্যক্তিরা হলেন- ময়মনসিংহ নগরীর গোলপুকুর পাড় এলাকার মাছুম (২৩), নান্দাইলের মারুফ (২০), নগরীর চরকালীবাড়ী এলাকার হিমেল (২২), একই এলাকার রিয়াজ (২০), নেত্রকোণা পূর্বধলা উপজেলার সালদীঘা এলাকার মামুন ও ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা সৈয়দপুর গ্রামের রাসেল (৩০)।
এ বিষয়ে জানতে ময়মনসিংহ কোতোয়ালী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাইন উদ্দিনকে ফোন করা হলে তিনি কল রিসিভ করেননি।
ময়মনসিংহ মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক লিটন আকন্দের মোবাইল ফোনে কল করা হলে তিনিও রিসিভ করেননি।