শনিবার(২১ সেপ্টেম্বর) সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া পৌরশহরের শহীদ স্মৃতি সরকারি কলেজ মাঠে বন্যা পরবর্তী ক্ষতিগ্রস্থদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ ও শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। 

উপজেলা বিএনপির একাংশের আয়োজনে অনুষ্ঠিত সভায় কয়েক হাজার  বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

সাবেক এমপি আরও বলেণ, গত ১৫ বছর বিএনপির নেতাকর্মীরা অনেক কষ্ট করেছে।  আমাদের কথা বলার সুযোগ ছিল না।  ছাত্র-জনতা গণ অভ্যুত্থানের মাধ্যমে আমাদেরকে কথার বলার স্বাধীনতা এনে দিয়েছে। আজ আমরা স্বাধীন। গত  ১৫ বছর বিএনপির বহু নেতাকর্মী আওয়ামীলীগের নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। মৃত্যু বরণ করেছেন। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে যারা শহীদ হয়েছে তাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করি।

মুশফিকুর রহমান আরও বলেন, গত ১৫ বছর আমাদের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে কিভাবে অত্যাচার-নির্যাতন করেছে  তা আপনারা দেখেছেন। উনাকে তিলে তিলে মেরে ফেলতে চেয়েছিল সরকার। বিদেশে যেতে দেয়নি। আল্লাহর রহমতে জনগণের ভালোবাসায় তিনি বেঁচে আছেন।  আল্লাহর রহমতে এই অত্যচারী সরকার চলে গেছে। এখন আমাদেরকে ঐকবদ্ধ হয়ে দেশ গড়তে হবে। বিএনপিকে শক্তিশালী করতে হবে।

উপজেলা বিএনপির সাবেক সহ সভাপতি বিল্লাল খন্দকারের সভাপতিত্বে এসময় অন্যান্যের মধ্যে  বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাবেক আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক, নসরুল্লাহ খান জুনায়েদ, উপজেলা বিএনপির সাবেক প্রধান উপদেষ্ঠা সৈয়দ আমানুল্লাহ শাহ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবুল মনসুর মিশন, পৌর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেন লিটন।

এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন যুবদলের সাবেক সভাপতি শেখ আইয়ুবুর রহমান, বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক শফিকুল আলম তুরান,বিএনপি নেতা আলআমিন ভূইয়া, শাহীন খান, কাইয়ুম খান খাদেম সাবেক ছাত্রদল নেতা মোবাশ্বের আহসান, মামুন আহমেদ, আসসাদিক ভূইয়া গালিব।

এর আগে সকাল ১১টায় ঢাকা থেকে আন্ত:নগর মহানগর এক্সপ্রেস ট্রেনে ঢাকা থেকে আখাউড়া রেলওয়ে জংশন ষ্টেশনে এসে পৌঁছেন সাবেক এমপি মুশফিকুর রহমান। এসময় বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মীরা শুভেচ্ছা জানান।

সভা শেষে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ হওয়া ১৫০টি পরিবারের মাঝে ১টি তোষক ও ২টি করে বালিশ উপহার দেওয়া হয়।