গত ৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে বগুড়ায় পুলিশের গুলিতে আহত স্কুলছাত্র জুনাইদ ইসলাম রাতুল (১৩) ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে।
গতকাল রোববার (২২ সেপ্টেম্বর) রাতে রাজধানীর নিউরোসায়েন্স হাসপাতালে মারা যায় সে। রাতুল বগুড়া শহরের সুলতানগঞ্জ ঘোনপাড়া এলাকার মুদি দোকনী জিয়াউর রহমানেরর ছেলে। সে বগুড়ার উপশহরের পথ পাবলিক স্কুলের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র ছিল।
রাতুলের স্বজনরা জানায়, ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে পালানোর খবর শুনে বিকেলে পাড়ার ছেলেদের সাথে আনন্দ মিছিলে যোগ দিতে বাড়ি থেকে বের হয় রাতুল।
বিকেল ৪টার পর আনন্দ মিছিলটি যখন বগুড়া সদর থানার দিকে যায়, সে সময় পুলিশের এলাপাথাড়ি গুলি এসে রাতুলের মাথায় লাগলে সে রাস্তায় লুটিয়ে পড়ে। পরে তাকে দ্রুত বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে দু’দিন চিকিৎসার পর তার অবস্থার উন্নতি না হলে তাকে রাজধানীর নিউরোসায়েন্স হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে দেড় মাসেরও বেশি সময় চিকিৎসা শেষে গত রাতে সে মারা যায়।
রাতুলের স্বজনরা আরও জানান, দুপুর ১২টার পর হাসপাতাল থেকে রাতুলের মরদেহ জানাজার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছে রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার চত্ত্বরে। সেখানে জানাজা শেষে রাতুলের মরদেহ নেয়া হয় বগুড়া শহরের ঘোন পাড়ায় তার নিজ বাড়িতে।
পরে বগুড়ায় দ্বিতীয় জানাজা শেষে তাকে দাফন করা হবে। উল্লেখ্য, অর্থাভাবে চিকিসা থেকে বঞ্চিত পুলিশের গুলিতে আহত শিশু রাতুল শীরনামে একটি প্রতিবেদন গত ১৯ আগস্ট ছাপা হয়েছিল।