এ ঘটনায় অভিযুক্ত আবদুল কাদেরকে (৪৫) স্থানীয় লোকজন আটক করে বেঁধে রাখলেও স্থানীয় সাবেক মেম্বারের ছেলে রফিকের সহযোগীতায় পালিয়ে যায় সে। 

রামগতি সার্কেল ও সহকারী পুলিশ সুপার মোঃ রকিবুল হাসান ও কমলনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ তোহিদুল ইসলাম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। পুলিশ ঘটনায় ব্যবহৃত চাকুটি উদ্ধার করেছে।  তার মৃতদেহ কমলনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রাখা হয়েছে। মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) বেলা ১২টার দিকে উপজেলার চরমার্টিন ইউনিয়নের ৬, ৭, ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সিমান্তে (কাশেম মেম্বারের মোড়ে) এ ঘটনা ঘটে।

নিহত জুয়েল ওই এলাকার চৌধুরী সর্দার বাড়ির নুরুল ইসলামের ছেলে। সে কয়েকমাস পূর্বে বিয়ে করেছে এবং তাঁর স্ত্রী সন্তানসম্ভবা।  সে পেশায় ইটভাটা শ্রমিক অভিযুক্ত কাশেম পেশায় জেলে নৌকার মাঝি।

স্থানীয় লোকজন জানায়, অভিযুক্ত আবুল কাশেম পাশ্ববর্তী চর কালকিনি ইউনিয়নের বাসিন্দা। সম্প্রতি নিহত জুয়েলদের বাড়ির পাশে বসতি গড়ে তোলেন তিনি। কাশেম ও তার পরিবারের লোকজন প্রতিদিন দুপুরে জুয়েলদের বাড়ির পুকুরে গোসল করতে যান৷ কিন্তু একই সময়ে বাড়ির নারীরাও ওই পুকুরে গোসল করেন। নারীদের নিরাপত্তার জন্য জুয়েল প্রতিবেশী কাদের মাঝিকে ওই পুকুরে গোসল করতে নিষেধ করেন৷ এ নিয়ে জুয়েলের সাথে কাদেরের ঝগড়া হয়।

মঙ্গলবার বেলা ১২টার দিকে জুয়েল বাড়ির পাশের দোকানে যান। সেখানে ওতপেতে থাকা আবদুল কাদের একটি চাকু নিয়ে জনসম্মুখে জুয়েলকে চুরিকাঘাত করে। পরে স্থানীয়রা জুয়েলকে কমলনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন। স্থানীয় লোকজন অভিযুক্তকে আটক করে খুঁটির সাথে বেঁধে রাখে। পরে স্থানীয় কাশেম মেম্বারের ছেলে রফিকের সহায়তায় সে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়।

জুয়েলের বাবা নুরুল ইসলাম বলেন, গতকাল বাড়ির পুকুর ব্যবহার করতে নিষেধ করায় সে বাড়ির মহিলাদেরকে গালিগালাজ করেছে। আজ দুপুরে ছেলে মসলা কিনতে দোকানে এলে অভিযুক্ত আবদুল কাদের মাঝি ধারালো চাকু দিয়ে জুয়েলের পেটের বাম পাশে ও গালে আঘাত করে। 

কমলনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ফাতেমাতুজ যাহারা জানান, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনার আগেই জুয়েলের মৃত্যু হয়। তার শরীরে একাধিক ক্ষত রয়েছে।

কমলনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ তোহিদুল ইসলাম বলেন, পূর্ব শত্রুতার জেরে জুয়েল নামে একজনকে চুরিকাঘাত করে হত্যা করা হয়েছে। মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হবে। হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত চাকুটি উদ্ধার করা হয়েছে। অভিযুক্ত আবদুল কাদেরকে ধরতে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে।