প্রশাসনিক ভবনের ডিজিটাল স্ক্রলিং বোর্ডে ‘রাজশাহী কলেজের শিক্ষার্থীদের ক্লাসে ৭০% উপস্থিতি বাধ্যতামূলক’ লেখার পরিবর্তে ছাত্রলীগের বার্তা প্রচার করা হয়েছে। এই বোর্ডে ‘বাংলাদেশ ছাত্রলীগ আবারো আসবে ভয়ংকর রূপে, সাবধান’ লেখাটি ভেসে উঠে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এ ঘটনার পর থেকে সমালোচনার ঝড় বইছে। কলেজের প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীরা। মুহুর্তেই এর ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে জরুরি একাডেমিক কাউন্সিলের মিটিংয়ে বসে কলেজ প্রশাসন।
আইটির দায়িত্বে থাকা আসলাম জানান, আমি কম্পিউটার অফ করে চলে গেছি। কে করল বা কিভাবে ঘটল আমি জানিনা। এই অ্যাপসটি এখন হ্যাক করা সম্ভব। হয়তো বাহির থেকে কেউ ল্যাপটপ বা ফোন দিয়ে লেখাটি পরিচালনা করেছে।
এক শিক্ষার্থী বিষয়টি নিয়ে হতাশা প্রকাশ করে বলেন, এত বড় একটা কলেজের প্রশাসনিক ব্যবস্থা এত দুর্বল কীভাবে হয়। এভাবে চলতে থাকলে সাধারণ শিক্ষার্থীরা কলেজের বর্তমান প্রশাসনের উপর ভরসা হারিয়ে ফেলবে। এর দ্রুত সমাধান চাই আমরা।
নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের বার্তা প্রচারের বিষয়টি স্বীকার করে রাজশাহীর কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মু. যহুর আলী বলেন, বিষয়টি নিয়ে আমরা এখন সুস্পষ্ট বর্ণনা দিতে পারছি না কে বা কারা কাজটি করল কিংবা কিভাবে ঘটল। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হবার পর বিষয়টি আমাদের নজরে আসে। আমরা বিষয়টি জানার চেষ্টা করছি কিভাবে এটি ঘটল। আমরা কলেজ প্রশাসন বিষয়টি তদারকি করছি। আশা করছি অপরাধীকে দ্রুত শনাক্ত করতে সক্ষম হব।