পিরোজপুরের ইন্দুরকানীতে দশম শ্রেনীর এক স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে সজল মিস্ত্রি (২৭) নামে এক গ্রাম পুলিশের বিরুদ্ধে। গত সোমবার সন্ধ্যায় উপজেলার পত্তাশী ইউনিয়নের রেখাখালী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
অভিযুক্ত গ্রাম পুলিশ পত্তাশী ইউনিয়নের রেকাখালী গ্রামের রবিন মিস্ত্রির ছেলে। এ বিষয়ে স্কুল ছাত্রীর ভাই বাদী হয়ে ইন্দুরকানী থানায় মামলা দায়ের করেন।
ঘটনা সূত্রে জানা যায়, সোমবার স্কুল ছাত্রীর মা তার প্রতিবেশী এক নাতি ও মেয়েকে বাসায় রেখে বাজারের বাজার করতে যায়। পরে তার নাতি বাহিরে বের হলে সেই সুযোগে গ্রাম পুলিশ সজল মিস্ত্রি ঘরে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দিয়ে স্কুল ছাত্রীর মুখ চেপে ধরে জোর পূর্বক ধর্ষণ করে পালিয়ে যায়।
স্কুল ছাত্রীর ভাই বলেন, আমি খুলনায় চাকুরী করি তাই আমার বাড়িতে আমার মা আর আমার বোন থাকে। আমাকে আমার বোন কল দিয়ে ধর্ষণের বিষয়টি জানালে আমি সাথে সাথে খুলনা থেকে বাড়িতে আসি এবং রাতেই আমি থানায় বিষয়টি জানাই। আমি আমার বোনের ধর্ষকের দ্রুত গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবি জানাই।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত গ্রাম পুলিশের মুঠোফোনে একাধিক বার ফোন দিলে মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
ইন্দুরকানী থানার অফিসার ইনচার্জ মো. মারুফ হোসেন জানান, রেখাখালীর গ্রামে স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষনের লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। স্কুল ছাত্রীকে মেডিকেলের জন্য পিরোজপুর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। মামলার প্রস্তুতি এবং আসামিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে ।