মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫ ৩ আষাঢ় ১৪৩২
মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫
ভাঙারি দোকানে কেজি হিসেবে বিক্রি হলো ‘মুক্তিযোদ্ধার ভাস্কর্য’
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪, ২:০৮ PM আপডেট: ২৩.১১.২০২৪ ৮:২৪ PM
মুক্তিযোদ্ধার দুটি ভাস্কর্য কয়েক বছর সময় বানিয়েছিলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) গ্রাফিক ডিজাইন, কারুশিল্প ও শিল্পকলার ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক আমিরুল মোমেনিন জোসি। কোথাও স্থাপন করতে না পেরে শেষে ভাঙারির দোকানে নামমাত্র মূল্যে বিক্রি করে দিয়েছেন তিনি।

সম্প্রতি রাজশাহী নগরীর বিনোদপুর বাজারের এক ভাঙারি ব্যবসায়ী আমিরুল মোমেনিনের স্টুডিও থেকে ভাস্কর্য দুটি কিনে এনেছেন। এখন বিনোদপুর বাজারে খোকন নামের ওই ব্যবসায়ীর দোকানের সামনে পড়ে আছে এগুলো। দোকানটির নাম ‘খোকন আয়রন ঘর’। খোকন আছেন ক্রেতার অপেক্ষায়। কেউ না কিনলে ভাস্কর্য দুটি ভেঙে লোহা হিসেবে বিক্রি করবেন।

ভাঙারি ব্যবসায়ী খোকন বলেন, ‘ভাস্কর্য দুটির ভেতরে পুরো লোহার বিম দিয়ে জালি করা আছে। বাইরের অংশটা এসএস পাইপ এবং স্টিল দিয়ে তৈরি। এটায় কখনও মরিচা ধরবে না। উচ্চতায় এটি প্রায় ১৮ ফুট।’ 

ভাস্কর আমিরুল মোমেনিন জোসি জানান, মাত্র ৯ হাজার ৪০০ টাকায় ভাস্কর্য দুটি বিক্রি করেছেন তিনি। এটি তৈরিতে তার খরচ হয়েছে প্রায় ৬০ হাজার টাকা। নগরীর মেহেরচণ্ডিতে লম্বা সময় ধরে নিজের স্টুডিওতেই এগুলো তৈরি করেন। কোথাও স্থাপন করতে না পেরে আক্ষেপ নিয়ে শেষে ভাঙারির দোকানে বিক্রি করে দিয়েছেন।

আমিরুল মোমেনিন জোসি আরও বলেন, “সারাদেশে আমার ও আমার স্টুডেন্টদের করা প্রায় ২০০ ভাস্কর্য ছিল। অনেক জায়গায় বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ছিল, সেগুলোও আমাদের হাতে করা। ৫ আগস্ট টেলিভিশনে দেখলাম, অনেক ভাস্কর্য ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এটা তো একজন শিল্পীর জন্য কষ্টের। বর্তমান প্রেক্ষাপটে মুক্তিযোদ্ধার ভাস্কর্যটি কোথাও বিক্রি করা সম্ভব না। কোথাও স্থাপন করা সম্ভব বলেও মনে করি না। তাই ভাঙারির দোকানে বিক্রি করে দিয়েছি। এটা যে একজন শিল্পীর জন্য কতটা কষ্টের তা বলে বোঝানো যাবে না।”
« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ
সম্পাদক ও প্রকাশক:
মো. আশরাফ আলী
কর্তৃক এইচবি টাওয়ার (লেভেল ৫), রোড-২৩, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২।
মোবাইল : ০১৪০৪-৪০৮০৫২, ০১৪০৪-৪০৮০৫৫, ই-মেইল : thebdbulletin@gmail.com.
কপিরাইট © বাংলাদেশ বুলেটিন সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত