শনিবার সকাল ১০টায় সদর উপজেলা বিএনপির উদ্যোগে আয়োজিত এ জনসভায় সভাপতিত্ব করেন সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি কাজী মাহবুব আলম।

সভায় সকাল থেকে শহর এবং সদর উপজেলার ১৪টি ইউনিয়ন থেকে খন্ড খন্ড মিছিল নিয়ে জনসভাস্থলে উপস্থিত হন। এসময় কারও হাতে ধানের ছড়া, জিয়াউর রহমানের ছবি সম্বলিত প্লাকার্ড, খালেদা জিয়ার প্রতিরুপ সাজিয়ে ঢাকঢোল পিটিয়ে গোটা শহর মিছিলে মিছিলে পরিনত করে।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, সতের বছর পর আজকে এখানে শান্তিপূর্নভাবে সমাবেশ করতে পারছি। অথচ ফ্যাষিষ্ট আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা এরআগে কয়েকদফায় এখানে হামলা চালিয়ে আমাদের চেয়ার টেবিল স্ট্রেজ ভাংচুর করে আমাদের উপর হামলা চালিয়েছিল। আজ তারা কোথায়? সবাই পালিয়ে গেছে। আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ। 

বক্তারা বলেন, গত পনের বছরে ফ্যাসিষ্ট আওয়ামীলীগেরকর্মীরা পটুয়াখালীর বিএনপির অফিস ১৪বার ভেঙ্গে চুরমার করেছে, এমনকি অফিসের ইলেকট্রনিক পাখা গুলোও চুরি করে নিয়ে গেছে। আমরা রাস্তায় নামতে পারেনি, ঘরে ঘুমাতে পারিনি, সন্তানের খোজ নিতে পারিনী, তারপরেও জেলার মধ্যে ছিলাম পালিয়ে কিন্তু দেশ থেকে আমাদের কেউ পালিয়ে যায়নি। অথচ শেখ হাসিনা পালিয়ে গেছে দেশ ছেড়ে। বক্তারা বলেন, পটুয়াখালী শান্তির শহর আমরা সম্মিলিত ভাবে এই শহরকে শান্তিপ্রিয় শহর বানিয়ে রাখবো।

জনসভায় প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী জাতীয় নির্বাহি কমিটির সদস্য মাওলানা নেছারুল হক। অন্যান্যদের মধ্যে আরো বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির আহবায়ক আবদুর রশিদ চুন্নু মিয়া, সদস্য সচিব সরকার কুট্টি, জেলা বিএনপির সিনিয়র সদস্য ও পটুয়াখালী পৌরসভার সাবেক মেয়র মোশতাক আহমেদ পিনু প্রমূখ।

জনসভায় সদর উপজেলার ১৪টি ইউনিয়ন ও পৌরসভার বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল, সেচ্ছাসেবকদল, মহিলাদল, কৃষকদলের নেতাকর্মীসহ দলের সমর্থকরা উপস্থিত ছিলেন।