ছাত্রজনতার গণঅভ্যুত্থানে হতাহতদের স্মরণে আয়োজিত এক স্মরণসভায় আওয়ামী লীগের পদধারী নেতার উপস্থিতি নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে।
অভ্যুত্থানে শহিদ ও আহতদের স্মরণে পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলা প্রশাসন একটি স্মরণসভার আয়োজন করে। সভায় গণঅভ্যুত্থানে নিহত এক শহিদের পরিবার ও আহত ব্যক্তিসহ অন্যান্য আমন্ত্রিতরা উপস্থিত ছিলেন।
সভায় রাঙ্গাবালী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক, পটুয়াখালী জেলা কৃষক লীগের সদস্য ও বড়বাইশদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. ফরহাদ হোসাইন উপস্থিত ছিলেন, যার কারণে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ক্ষোভ প্রকাশ হয়েছে। অনেকেই এই বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, শহিদ ও আহতদের স্মরণ সভায় আওয়ামী লীগ নেতার উপস্থিতি অগ্রহণযোগ্য ছিল।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী তানজিমুল আবিদ বলেন, আমরা যারা ২৪-এর গণঅভ্যুত্থানে মৃত্যুকে হাতে নিয়ে যুদ্ধ করেছি, তারা এ বিষয়ে কিছু জানার অধিকার রাখি না? যারা ছাত্রলীগের গুলিতে আহত হয়েছিলাম, তাদের কষ্ট না ভেবে এমন আয়োজন কীভাবে সম্ভব? এদের ধরে ফাঁসি দিলেই শান্তি পেতাম।
আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী নর্দার্ন ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী ইমরোজ মাহমুদ রুদ্র বলেন, রাঙ্গাবালীতে শহিদদের স্মরণে আয়োজিত সভায় আওয়ামী লীগের নেতাকে উপস্থিত রেখে শহিদদের অসম্মান করা হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইকবাল হাসান জানান, উপজেলা প্রশাসন কর্তৃক আয়োজিত স্মরণ সভায় আওয়ামী লীগের কোনো নেতাকে দাওয়াত করা হয়নি। যে ব্যক্তি উপস্থিত ছিলেন, তার রাজনৈতিক পরিচয় সম্পর্কে আমি অবহিত ছিলাম না।