চট্টগ্রাম জেলার তিন কমিটি থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ৫০ সদস্য পদত্যাগ করেছেন। একই সঙ্গে এই কমিটিকে বাতিলের না করা পর্যন্ত বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ ও সদস্য সচিব আরিফ সোহেলকে চট্টগ্রামে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়েছে।
পাশাপাশি নতুন কমিটি গঠন করতে কেন্দ্রীয় কমিটিকে সময় বেঁধে দিয়ে সড়ক অবরোধের আলটিমেটাম দেন তারা। আজ মঙ্গলবার দুপুরে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের এস রহমান মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলন করে এ আলটিমেটাম দেন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকারী ছাত্রদের একাংশ।
জানা যায়, গতকাল সোমবার রাতে আগামী ছয় মাসের জন্য ৭৫৪ সদস্যবিশিষ্ট চট্টগ্রাম মহানগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহ্বায়ক কমিটির অনুমোদন দেয় কেন্দ্রীয় কমিটি। এরপর থেকে ওই কমিটি নিয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়।
সংবাদ সম্মেলনে সমন্বয়ক জুবায়ের মানিক বলেন, ‘চট্টগ্রামে তিন কমিটিই প্রহসনের কমিটি। এতে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে অংশীজনদের মূল্যায়ন করা হয়নি। চাঁদাবাজ, নারী হেনস্থাকারী ও কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যদের দিয়ে কমিটি করা হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সদস্য রাসেল আহমেদ এই কমিটির বিষয়ে অবগত নয়। আরেক সমন্বয় খান তালাত রাফির ইন্ধনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ ও সদস্য সচিব আরিফ সোহেল এই প্রহসনের কমিটি গঠন করে। আমরা এই কমিটিকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছি। এই কমিটি বাতিল না করা পর্যন্ত হাসনাত আবদুল্লাহ, আরিফ সোহেল ও খান তালাত মাহমুদ রাফিকে বীর চট্টলায় অবাঞ্ছিত ঘোষণা করছি।’
প্রসঙ্গত, ১৭ ফেব্রুয়ারি দিবাগত রাত ১২টার দিকে ৬ মাসের জন্য চট্টগ্রাম মহানগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলার কমিটির অনুমোদন দেন কেন্দ্রীয় কমিটির আহবায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ ও সদস্যসচিব আরিফ সোহেল। ছাত্রদের এসব কমিটিতে মোট ৭৫৪ জনের নাম রয়েছে।