বৃহস্পতিবার ১৯ জুন ২০২৫ ৫ আষাঢ় ১৪৩২
বৃহস্পতিবার ১৯ জুন ২০২৫
দিল্লির দাসত্ব থেকে মুক্ত হয়েছি নিউইয়র্কের গোলামি করতে নয়: মামুনুল হক
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: শনিবার, ৩ মে, ২০২৫, ৩:৪৫ PM
রাখাইনে মানবিক করিডরের নামে বাংলাদেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্বকে হুমকির মুখে ফেলা যাবে না জানিয়ে হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব ও খেলাফত মজলিশের আমির মামুনুল হক বলেছেন, ‘দিল্লির দাসত্বের শৃঙ্খল থেকে মুক্ত হয়েছি নিউইয়র্কের গোলামি করবার জন্য নয়।’ 

এই অপতৎপরতা বন্ধ না হলে দেশপ্রেমিক জনতাকে যুদ্ধের প্রস্তুতি নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। আজ শনিবার (৩ মে) দুপুরে রাজধানী সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে নারী অধিকার বিষয়ক সংস্কার কমিশন বাতিলসহ ৫ দাবিতে হেফাজতে ইসলাম আয়োজিত মহাসমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।

ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উদ্দ্যেশ্যে বার্তা দিতে চাই উল্লেখ করে মামুনুল হক বলেন, ‘১৯৭১ সালে মুক্তিযোদ্ধারা বলেছিল, আমরা পিন্ডির গোলামির জিঞ্জির ছিন্ন করেছি, দিল্লির দাসত্ব করার জন্য নয়। ২৪ এর জুলাইয়ের স্বাধীনতা সংগ্রামের পর আমি বলতে চাই, আমরা দিল্লির দাসত্বের শৃঙ্খল থেকে মুক্ত হয়েছি, নিউইয়র্কের গোলামি করবার জন্য নয়।’

তিনি বলেন, ‘যদি বাংলাদেশকে ওয়াশিংটনের দাসে পরিণত করার কোনো চক্রান্ত করা হয়, হিউম্যানিটারিয়ান করিডরের নামে বাংলাদেশের বুকের ওপর দিয়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব হরণ করার জন্য অপতৎপরতা চালানো হয়, তাহলে সারা দেশের মানুষের প্রতি আমার আহবান, যুদ্ধের প্রস্তুতি নাও, দেশের জন্য যুদ্ধের প্রস্তুতি নাও।’

হেফাজত নেতাকর্মীদের নামে দায়েরকৃত মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা পরিষ্কার করে বলি, ড. ইউনূসের সঙ্গে হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ অনেকবার সাক্ষাৎ করে বিনয়ের সঙ্গে আবেদন করেছি, আমাদের বিরুদ্ধে ফ্যাসিবাদী আমলে দায়েরকৃত মিথ্যা মামলাগুলো প্রত্যাহার করেন। কিন্তু কেন যেন মনে হচ্ছে আমাদের সোজা আঙুলে ঘি উঠবে না।’

তিনি বলেন, ‘প্রফেসর ড. ইউনূস আপনি কি সেই কথা ভুলে গিয়েছেন, এই দুই মাস আগেও আমাদের সামনে আদালতের পাড়ায় পাড়ায় ঘুরতেন। আগামী দুই মাসের মধ্যে যদি হেফাজতে ইসলামের নেতা–কর্মীদের নামে মামলা প্রত্যাহার না হয় তাহলে হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মীদের যা করতে হয় তাই করবে।’

নারী অধিকার সংস্কারের নামে ইসলামকে কটাক্ষ করা হয়েছে দাবি করে তিনি বলেন, ‘ধর্মীয় উত্তরাধিকার বিধান, পারিবারিক বিধানকে নারী-পুরুষের বৈষম্যের প্রধান কারণ হিসেবে আখ্যায়িত করে নারী বিষয়ক কমিশন এ দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত প্রদান করেছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত প্রদান করার অপরাধে তাদের বিরুদ্ধে আমরা রাষ্ট্রের শাস্তিমূলক ব্যবস্থা দেখতে চাই। হেফাজতে ইসলাম বলতে চায়, এই তথাকথিত পশ্চিমা ধ্যানধারণায় বিশ্বাসী, বিতর্কিত নারীবাদীদের আদর্শ ও দর্শন নয় বরং হেফাজতে ইসলাম ইসলাম প্রদত্ত, আল্লাহ ঘোষিত নারীর ন্যায্য অধিকারে বিশ্বাসী।’

মামুনুল হক বলেন, ‘সংস্কার কার্যক্রম চলাকালে বহুত্ববাদের মতো বিতর্কিত, একত্ববাদ বিরোধীন কোনো ধারণা বাংলার মানুষ গ্রহণ করবে না। আমরা সংবিধান আল্লাহর ওপর পূর্ণ আস্থা এবং বিশ্বাস পুনর্বহালের দাবি করেছি। এই দাবি বাস্তবায়নের জন্য আগামী দিনে কঠোর কোনো সিদ্ধান্ত নিতে হলে হেফাজতে ইসলাম সেই সিদ্ধান্তই নেবে।’
« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ
সম্পাদক ও প্রকাশক:
মো. আশরাফ আলী
কর্তৃক এইচবি টাওয়ার (লেভেল ৫), রোড-২৩, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২।
মোবাইল : ০১৪০৪-৪০৮০৫২, ০১৪০৪-৪০৮০৫৫, ই-মেইল : thebdbulletin@gmail.com.
কপিরাইট © বাংলাদেশ বুলেটিন সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত