নারী যাত্রীকে নির্জন স্থানে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণের অভিযোগে শাহ পরান (৩০) নামে এক রাইড শেয়ারের মোটরসাইকেল চালককে গ্রেফতার করেছে নরসিংদী জেলা পুলিশ।
আসামি শাহ পরানকে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মেশকাত ইসলামের আদালতে হাজির করা হলে তিনি ওই নারীকে ধর্ষণের কথা স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি প্রদান করেন। এর আগে, গত শনিবার মধ্যরাতে শাহ পরানকে ঢাকার কেরানীগঞ্জ থেকে গ্রেফতার করে পলাশ থানা পুলিশ।
ধর্ষণের অভিযোগে অভিযুক্ত মোটরসাইকেল চালক শাহ পরান ঢাকার কেরানীগঞ্জ থানার তারানগর বটতলী (দক্ষিণ পাড়া) এলাকার আব্দুল আলীর ছেলে। নরসিংদীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. আনোয়ার হোসেন এই তথ্য নিশ্চিত করেন।
ভুক্তভোগী নারী জানান, মোটরসাইকেলে ওঠার পর চালকের দেওয়া হেলমেট পরেন তিনি। এর কিছুক্ষণ পর অচেতন হয়ে পড়েন। জ্ঞান ফেরার পর বুঝতে পারেন অচেনা ও নির্জন স্থানে নিয়ে আসা হয়েছে তাকে। এরপর ধর্ষণের শিকার হন তিনি।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জানান, গত ২৮ মে বিকালে রাজধানীর শ্যামলীতে যেতে মিরপুর ১২ নম্বর থেকে রাইড শেয়ারের মোটরসাইকেলে ওঠেন এক সন্তানের জননী ওই ভুক্তভোগী নারী। রাত সোয়া ৯টার দিকে ওই নারীকে নরসিংদীর পলাশ উপজেলার ঘোড়াশাল পৌরসভার পাঁচদোনা-টঙ্গী আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশে নির্জন স্থানে নিয়ে যায় শাহ পরান। পরে সেখানে ওই নারীকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে।
এ সময় নারীর সঙ্গে থাকা নগদ অর্থ ছিনিয়ে নেওয়ার পাশাপাশি তাকে হত্যার হুমকি দিয়ে বিকাশের মাধ্যমে তার স্বজনদের কাছ থেকেও অর্থ আদায় করেন পরান। পরে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ মারফত সংবাদ পেয়ে পলাশ থানা পুলিশ তাৎক্ষণিক ভুক্তভোগী নারীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়।
ধর্ষিতা নারী বাদী হয়ে ধর্ষক ও প্রধান আসামি হিসেবে মো. শাহ পরানের নাম উল্লেখ করে এবং সহায়তাকারী হিসেবে অজ্ঞাত অপর দুই ব্যক্তির বিরুদ্ধে নরসিংদীর পলাশ থানায় মামলা করেন। এরপর আসামিদের গ্রেফতারে সাঁড়াশি অভিযান শুরু করে থানা পুলিশ ও ডিবিসহ পুলিশের সংশ্লিষ্ট ইউনিটগুলো। পরে মধ্যরাতে ধর্ষক শাহ পরানকে ঢাকার কেরানীগঞ্জ থেকে গ্রেফতার করা হয়।