বরিশালের মুলাদীতে বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে পল্লী বিদ্যুতের সরবরাহ ব্যবস্থা। দিন-রাত মিলিয়ে ৬ ঘণ্টাও বিদ্যুৎ মিলছে না। এ নিয়ে গ্রাহকদের মধ্যে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
বিক্ষুব্ধ গ্রাহকেরা গতকাল মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে পল্লী বিদ্যুতের মুলাদী আঞ্চলিক কার্যালয়ে হামলা চালান। এ সময় সংস্থার সহকারী মহাব্যবস্থাপক মো. ফিরোজ অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। মুলাদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শফিকুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
আঞ্চলিক কার্যালয় ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সূত্রে জানা গেছে, মুলাদী ও হিজলা উপজেলা এবং মেহেন্দীগঞ্জের কাজিরহাট থানায় পল্লী বিদ্যুতের প্রায় ৮২ হাজার গ্রাহক রয়েছেন। বরিশাল থেকে মুলাদী উপকেন্দ্রের লাইনের মাধ্যমে এসব এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ নিয়ন্ত্রণ করা হয়। ১ জুন সন্ধ্যার পর গ্রিডের ইনকামিং ব্রেকার বিস্ফোরণ হওয়ায় মুলাদী ও হিজলায় সরবরাহে বিপর্যয় দেখা দেয়।
মুলাদী বন্দরের ব্যবসায়ী জানে আলম জানান, দিন-রাত মিলিয়ে ৬ ঘণ্টাও বিদ্যুৎ পাওয়া যাচ্ছে না। গত সোমবার টানা ১৮ ঘণ্টা বিদ্যুৎ-বিচ্ছিন্ন থাকার পর সরবরাহ চালু হয়। পরে দিবাগত রাত ২টার দিকে আবার চলে যায়। এতে সাধারণ মানুষ ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। তারা মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে কার্যালয় ঘেরাও করে বিদ্যুতের দাবিতে স্লোগান দেয় এবং ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে।
পল্লী বিদ্যুতের সহকারী মহাব্যবস্থাপক ফিরোজ বলেন, বরিশাল থেকে মুলাদী উপকেন্দ্রে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়। অনেক সময় বরিশাল গ্রিডে সমস্যার জন্য সরবরাহে ঝামেলা দেখা দেয়। এ ছাড়া ঝড়বৃষ্টিতে লাইনের ওপর গাছপালা ভেঙে পড়ে বা বজ্রপাতে ইনসুলেটর ভেঙে সরবরাহে বিঘ্ন ঘটে। পল্লী বিদ্যুৎ থেকে গ্রাহকদের সর্বোচ্চ সেবা দেওয়ার চেষ্টা করা হয়।
হামলার বিষয়ে মুলাদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, রাতে বিক্ষুব্ধ ৪০-৫০ জন পল্লী বিদ্যুতের কার্যালয় ঘেরাও করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। সংবাদ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে জনতাকে শান্ত করে।