দেবহাটায় সমন্বয়ক পরিচয়ে গোলাম রব্বানী নামের এক ইটভাটা মালিকের বাড়িতে গিয়ে চাঁদা দাবি করলে ক্ষুব্ধ গ্রামবাসী তিনজনকে আটক করে গণধোলাইয়ের পর সেনাবাহিনীর কাছে সোপর্দ করার অভিযোগ উঠেছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে উপজেলার পুষ্পকাটি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পরে গভীর রাতে সেনা সদস্যরা তিনজনকে দেবহাটা থানায় সোপর্দ করে।
এ ঘটনায় আটককৃতরা হলেন- দেবহাটা উপজেলার বহেরা গ্রামের আব্দুল আনিসের ছেলে নাহিদ হাসান, শ্যামনগর উপজেলার কৈখালী গ্রামের আফতাব মোড়লের ছেলে আব্দুর রহিম, আশাশুনি উপজেলা সদরের আব্দুর রফিকের ছেলে আব্দুর রহমান।
ভুক্তভোগী বিসমিল্লাহ ব্রিকসের মালিক গোলাম রব্বানি জানান, বৃহস্পতিবার বিকেলে পাঁচজন যুবক হাতে অস্ত্র নিয়ে তাদের বাড়িতে ঢোকে। এ সময় তারা তার কাছে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে। টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করায় তারা তাকে বেধড়ক পেটায়। এ সময় তিনি পালিয়ে জীবন বাঁচানোর চেষ্টা করলে দুইজন তাকে ধাওয়া করে। পরে গ্রামবাসী তাদেরকে ধরে গণধোলাই দেয়। এরপর খবর পেয়ে সেনাসদস্যরা তাদের তুলে নিয়ে যায়।
দেবহাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. গোলাম কিবরিয়া জানান, সেনাসদস্যরা তিনজনকে রাতে থানায় সোপর্দ করেছে। তবে এ বিষয়ে থানায় কেউ অভিযোগ করেনি।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দেবহাটা উপজেলার আহবায়ক মুজাহিদ ফিরোজ বলেন, গোলাম রব্বানি আওয়ামী লীগের সক্রিয় কর্মী ছিলেন। সমন্বয়করা তার বাড়িতে যায় তাকে পুলিশের কাছে ধরিয়ে দিতে। কিন্তু তারা পরিকল্পিত হামলা চালিয়ে তিনজনকে সেনাবাহিনীর হাতে তুলে দেয়। এটা একটি গভীর ষড়যন্ত্র।