বিগত কয়েক বছর গানের জগত ছাড়িয়ে সমাজসেবায় দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন কুঁড়েঘর ব্যান্ডের ভোকাল তাসরিফ খান। দেশের যেকোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ, দুর্ঘটনা বা বৈষম্যের বিরুদ্ধে নিয়মিত সরব থাকেন এই তরুণ গায়ক।
নানা সময় তার সাহসী ভূমিকা ও মানবিক কাজ প্রশংসিত হয়েছে সর্বমহলে। তবে এবার একটি ভিন্ন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাসরিফ—দেশ ছাড়ার পরিকল্পনা করছেন তিনি। সম্প্রতি এক টিভি অনুষ্ঠানে তাসরিফ খান জানান, দেশে চলমান নানা সামাজিক বৈষম্য, নিরাপত্তাহীনতা এবং মনস্তাত্ত্বিক চাপে তিনি হতাশ। এ কারণেই ভবিষ্যৎ পরিকল্পনায় রয়েছে দেশের বাইরে যাওয়ার বিষয়টি। যদিও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত বা কোন দেশে যাচ্ছেন তা এখনো জানাননি তিনি।
দেশের জন্য কিছু করার ইচ্ছা কী আছে— এমন প্রশ্নের জবাবে তাসরিফ খান বলেন, ‘দেশের জন্য আমি সারাজীবনই করতে চাই। কিন্তু দেশে আমার থাকার যে অনেক... ছোটবেলা থেকেই বিদেশ শুনলে আমার ভালো লাগত না। কিন্তু বর্তমানে দেশের যে রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট এবং আমি দেখছি যে নোংরামিই আমি বলব...।’
তাসরিফ আরও বলেন, ‘আমি দেশকে অনেক ভালোবাসি। আমার কাছে এগুলো আর ভালো লাগছে না। আমি এগুলো নিতে পারি না, অনেক কষ্ট লাগে। এখন আমার ইচ্ছা করে হয়তোবা আমি দেশে থাকব না। হয়তোবা আগামী দুই-তিন বছর পর আমি দেশের বাইরে চলে যেতে পারি। আর দেশের সেবা করার জন্য আমাকে খুব বড় কিছু হতে হবে না।’
সর্বোপরি দেশের রাজনীতি, মারামারি-হানাহানির এসবের কারণেই দেশ ত্যাগ করার পরিকল্পনা করেছেন ‘রাজার রাজ্যে সবাই গোলাম’ গানের এই গায়ক।
প্রসঙ্গত, গেল জুলাই-আগস্টে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের শুরু থেকেই সরব ছিলেন গায়ক তাসরিফ খান। গান গেয়ে অনুপ্রেরণা জুগিয়েছিলেন ছাত্রদের।