সোমবার ১৬ জুন ২০২৫ ২ আষাঢ় ১৪৩২
সোমবার ১৬ জুন ২০২৫
এটিএম বুথের ভেতর কিশোরীকে ধর্ষণ
শ্রীপুর (গাজীপুর) প্রতিনিধি
প্রকাশ: সোমবার, ১৬ জুন, ২০২৫, ৪:০১ PM
শ্রীপুরে বেশি টাকা বেতনে চাকরির লোভ দেখিয়ে পোশাক শ্রমিক কিশোরীকে (১৪) ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় শ্রীপুর থানায় মামলা করেছেন ভুক্তভোগী। মামলায় ডাচ বাংলা ব্যাংকের এটিএম বুথের নিরাপত্তাকর্মী লিটন মিয়াকে (৪০) আসামি করা হয়েছে। 

আজ সোমবার (১৬ জুন) দুপুর ১২টায় ভিকটিমকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায় পুলিশ। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন শ্রীপুর থানার ওসি (তদন্ত) শামীম আকতার।

অভিযুক্ত ধর্ষক লিটন মিয়া ময়মনসিংহের গফরগাঁও (পাগলা) থানার ডুবাইল গ্রামের আব্দুল আউয়ালের ছেলে। তিনি উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়নের মুলাইদ গ্রামের আতাবুদ্দিন মুছার বাড়িতে ভাড়া থাকেন। তিনি তালহা স্পিনিং মিলস লিমিটেড কারখানার ডাচ বাংলা ব্যাংকের এটিএম বুথে নিরাপত্তাকর্মী হিসেবে চাকরি করেন।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, রোববার সকালে উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়নের মুলাইদ গ্রামের তালহা স্পিনিং মিলস লিমিটেড কারখানার ডাচ বাংলা ব্যাংকের এটিএম বুথের ভেতর এ ঘটনা ঘটে। এ দিন রাত সাড়ে ১১টার দিকে কিশোরীর বাবা বাদী হয়ে মামলা রুজু করেন। 

শ্রীপুর থানার ওসি (তদন্ত) শামীম আকতার বলেন, ঘটনার পর থেকে আসামি ডাচ বাংলা ব্যাংকের এটিএম বুথের নিরাপত্তাকর্মী লিটন মিয়া কর্মস্থল ছেড়ে পলাতক রয়েছেন। আমরা আসামিকে ধরতে অভিযান অব্যাহত রেখেছি।

ভুক্তভোগী কিশোরীর বাবা মামলার এজাহারে উল্লেখ করেন, তার মেয়ে স্থানীয় একতা কারখানায় ৬ হাজার টাকা বেতনে চাকরি করতো। ওই কারখানায় চাকরি করা অবস্থায় ভিকটিম কিশোরী তালহা স্পিনিং মিলস লিমিটেড কারখানার ডাচ বাংলা ব্যাংকের এটিএম বুথ থেকে নিয়মিত টাকা উত্তোলন করতো। 

একপর্যায়ে ওই বুথের নিরাপত্তাকর্মী ভিকটিমের সঙ্গে পরিচয় হলে তাকে বেশি টাকা বেতনে তালহা স্পিনিং মিলস লিমিটেডে চাকরি দেওয়ার আশ্বাস দেয়। রোববার সকাল ৬টায় আসামি লিটন মিয়া ভিকিটিমের বাবার মুঠোফেনে ফোন করে তার মেয়েকে এটিএম বুথে পাঠাতে বলে এবং তাকে ১২ হাজার টাকা বেতনের চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়। আসামির কথায় আমার মেয়েকে তালহা কারখানার এটিএম বুথে পাঠিয়ে দেই। এ দিন সকালে আমার মেয়েকে ওই এটিএম বুথের ভেতরে পাশের থাই গ্লাস দিয়ে আটকানো কক্ষে নিয়ে তাকে হত্যার হুমকি দিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। পরে ভিকটিম বাড়িতে গিয়ে তার বাবাকে ঘটনা জানায়।
« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ
সম্পাদক ও প্রকাশক:
মো. আশরাফ আলী
কর্তৃক এইচবি টাওয়ার (লেভেল ৫), রোড-২৩, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২।
মোবাইল : ০১৪০৪-৪০৮০৫২, ০১৪০৪-৪০৮০৫৫, ই-মেইল : thebdbulletin@gmail.com.
কপিরাইট © বাংলাদেশ বুলেটিন সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত