জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধন মানেই যেন বিড়ম্বনা। সেবা প্রার্থীদের অভিযোগ টাকা ছাড়া কাজ করে না নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ের দ্বায়িত্বশীলরা৷ আর এসব অনিয়ম আর দূর্ণীতির মাধ্যমে বিভিন্ন সময় রোহিঙ্গা নাগরিক থেকে শুরু করে একজনের একাধিক এনআইডি পাওয়া গেছে৷ অবশেষে এসব অনিয়মের অভিযোগে চট্টগ্রাম আঞ্চলিক নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
দুপুরে এ অভিযান পরিচালনা করেন দুদক চট্টগ্রাম মেট্রো কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক এমরান হোসাইনের নেতৃত্বে ৪ সদস্যের টিম।
অভিযান কালে দুদক টিম চট্টগ্রামের আঞ্চলিক নির্বাচন কমিশন ও জেলা নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে সাক্ষাত করে এবং প্রতিষ্ঠানটির বিভিন্ন অনিয়মের বিষয়গুলো খতিয়ে দেখেন।
অভিযানিক সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে নিষ্পত্তি না হওয়া চারটি এনআইডি সংশোধনের বিষয়ে তদন্ত করে দুদক। এসময় সন্দেহজনক চারটি ব্যাংক একাউন্টের বিষয়ে খোঁজখবর নেন তারা। তবে এসব একাউন্টের বিষয়ে কোনো তথ্য দিতে পারেনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
অভিযানের বিষয়ে দুদক চট্টগ্রাম মেট্রো কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক এমরান হোসাইন গণমাধ্যমকে জানান, আমরা চারটি এনআইডি সংশোধনের বিষয়ে খোঁজ নিয়েছি। যেগুলো এরইমধ্যে সংশোধন করা হয়েছে। পাশাপাশি সংশোধনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা আর্থিক লেনদেনের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। সে বিষয়ে খোঁজখবর নেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও জানান, আমাদের কাছে চারটি ব্যাংক একাউন্ট নাম্বার রয়েছে। যার মাধ্যমে কিছু আর্থিক লেনদেন হয়ে থাকে বলে আমাদের কাছে অভিযোগ রয়েছে। আমরা এ বিষয়ে কর্তৃপক্ষের কাছে তথ্য চেয়েছি। এই ব্যাংক একাউন্টগুলো তাদের নয় বলে জানিয়েছে। আমরা ব্যাংক একাউন্টগুলো কাদের নামে রয়েছে তা যাচাই করবো।
দুদকের অভিযানের বিষয়ে আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা বেলায়েত হোসেন গণমাধ্যমকে জানান, যে চারটি এনআইডি সংশোধনের বিষয়ে তথ্য নিতে এসেছে তা আগেই নিষ্পত্তি হয়ে গেছে। পাশাপাশি কার্যালয়ের বিভিন্ন বিষয়ে তাঁরা তথ্য চেয়েছিলেন। আমরা সেসব তথ্য দিয়ে সহায়তা করেছি। আমার কার্যালয়ের কোনো কর্মকর্তা কিংবা কর্মচারী অনিয়মের সঙ্গে জড়িত থাকলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।