যশোর জেনারেল হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন সাবিলা খাতুন (৫৫) নামে করোনা আক্রান্ত এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। আজ বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে তিনি মারা যান। এ নিয়ে যশোরে করোনায় মৃতের সংখ্যা দাঁড়ালো ৩ জনে।
যশোর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলেছেন যশোরে দীর্ঘ চার বছর পর আবারও করোনাভাইরাসের রোগী শনাক্ত হয়। গত ১২জুন প্রথম করোনা রোগী হিসেবে হাসপাতালে ভর্তি হন সাবিলা খাতুন। এরপর ১৩ জুন ইউসুফ আলী (৪২) নামে একজন এবং কিডনিজনিত সমস্যায় হাসপাতালে ভর্তি শেখ আমির (৬৮) নামে আরো একজনের করোনা সনাক্ত হয়। আক্রান্ত তিনজনকেই সংক্রামক ওয়ার্ড থেকে পরবর্তীতে আইসিইউতে নেয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ১৮ জুন বুধবার সকালে মারা যান শেখ আমির। এরপর ওই দিন দিবাগত রাত ১টায় মারা যান ইউসুফ আলী। সর্বশেষ আজ শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৫টায় মারা যান সাবিলা খাতুন।
যশোর জেনারেল হাসপাতালের আইসিইউ ইনচার্জ ডাঃ রবিউল ইসলাম তুহিন জানান, সাবিলা খাতুন ঠান্ডা, কাশি ও জ্বর নিয়ে যশোর শহরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হন। করোনা সন্দেহভাজন হওয়ায় তার নমুনা পরীক্ষা করা হয়। করোনা সনাক্ত হলে গত ১২ জুন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে স্থানান্তর করে। তিনি আইসিইউতে আইসেলশন ইউনিটে চিকিৎসাধীন ছিলেন। আজ বিকেলে তার অবস্থার অবনতি হলে তাকে আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়। আইসিইউতে আসার আধা ঘন্টা পরই তিনি মারা যান।
তিনি আরো জানান, আইসিইউতে আজ পর্যন্ত তিনজন করোনা রোগী ভর্তি ছিলেন। দুই দিনের ব্যবধানে তারা সকলেই মারা গেছেন।
প্রসঙ্গত, মৃত সাবিলা খাতুন সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার গদখালী এলাকার মোস্তাফিজুর রহমানের স্ত্রী ও যশোর কোতোয়ালি মডেল থানায় কর্মরত এক নারী এসআই এর শাশুড়ি।