কমলনগরে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে খালা শাশুড়ির (৫৪) সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলেন ভাগনি জামাই মো. সেলিম (৪৭)। ঈদুল আজহার সময় বাড়িতে এসে মোবাইল ফোনেই সেলিম তাকে ডেকে নেন। ঘর থেকে বের করে পার্শ্ববর্তী একটি পরিত্যক্ত বাড়িতে নিয়ে ধর্ষণের পর তাকে হত্যা করা হয়। পরে তার হাতের স্বর্ণের আংটি, কানের দুল ও গলার চেইন নিয়ে পালিয়ে যান সেলিম।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে প্রেস ব্রিফিংয়ে কমলনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তৌহিদুল ইসলাম এসব তথ্য জানান।
আসামি সেলিমকে গত সোমবার রাতে রাজধানীর আশুলিয়া থানার পলাশবাড়ী বটতলী এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ঘটনার ৮ দিন পর পুলিশ এ হত্যার আসামিকে গ্রেপ্তারের মাধ্যমে রহস্য উদঘাটন করে। সেলিমের কাছ থেকে ওই নারীর স্বর্ণালংকারও উদ্ধার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তার সেলিম কমলনগর উপজেরার চরকালকিনি ইউনিয়নের চরসামছুদ্দিন এলাকার নুরুল আমিনের ছেলে। তিনি রাজধানীর আশুলিয়া এলাকায় ভ্রাম্যমাণ শরবত বিক্রেতা ছিলেন।
কমলনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তৌহিদুল ইসলাম বলেন, ‘আসামিকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। ঘটনাটি তদন্ত চলছে। অন্য কেউ জড়িত রয়েছে কি না তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’
প্রেস ব্রিফিংয়ে পুলিশ জানায়, সেলিম ওই নারীর ভাগনি জামাই। মোবাইল ফোনের মাধ্যমে কথা বলে তিনি খালা শাশুড়ির সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলেন। একইভাবে ১৫ জুন রাতে মোবাইল ফোনে কথা বলে সেলিম তাকে ঘর থেকে বের করে নেন। পরে পার্শ্ববর্তী নুরু মিয়া সর্দারের পরিত্যক্ত বাড়িতে নিয়ে যান। সেখানে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধে ওই নারীকে হত্যা করা হয়। পরে তার হাতে থাকা তিনটি স্বর্ণের আংটি, কানের দুল ও গলার চেইন নিয়ে সেলিম পালিয়ে যান।
পরদিন দুপুরে স্থানীয় শিশুরা ওই বাড়ির পাশে খেলতে গিয়ে মরদেহ দেখতে পায়। খবর পেয়ে পুলিশ চরকালকিনি ইউনিয়নের মতিরহাট এলাকার ওই পরিত্যক্ত বাড়ি থেকে থেকে মরদেহ উদ্ধার করে। এ ঘটনার নিহতের মেয়ে বাদী হয়ে থানায় হত্যা মামলা করেন।
এদিকে ঘটনার পর থেকে সেলিম পলাতক ছিলেন। পরে মৃত নারীর মোবাইল ফোনের কল লিস্ট চেক করে পুলিশ আসামি সেলিমকে শনাক্ত করে পুলিশ। তথ্য-প্রযুক্তির মাধ্যমে তাকে আশুলিয়া থানার বটতলী এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন। স্বর্ণালংকারগুলো বটতলী এলাকার একটি স্বর্ণের দোকানে বন্ধক রাখা হয়। মামলার তদন্তের স্বার্থে ওই জুয়েলার্স দোকান থেকে স্বর্ণালংকার জব্দ করে নিয়ে আসা হয়েছে।