সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আদালত অবমাননার মামলায় ছয় মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
আজ বুধবার (০২ জুলাই) দুপুরে বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল এই আদেশ দেন। এর আগে, আদালত অবমাননার এই মামলার পূর্ণাঙ্গ শুনানির জন্য এ ওয়াই মশিউজ্জামানকে অ্যামিকাস কিউরি (আদালতের বন্ধু) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। একই সঙ্গে এ বিষয়ে পরবর্তী শুনানির জন্য ২ জুলাই দিন ধার্য করা হয়।
আইন অনুযায়ী, এ ধরনের মামলায় কোনো পক্ষের জন্য সরকারি খরচে আইনজীবী নিয়োগের বিধান না থাকলেও ন্যায়বিচারের স্বার্থে শেখ হাসিনার পক্ষে এক আইনজীবী নিয়োগ দেন আদালত।
প্রসিকিউটর গাজী এম এইচ তামিম সাংবাদিকদের বলেন, আদালত অবমাননার অভিযোগের শুনানির জন্য ট্রাইব্যুনাল সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগ নেতা শাকিল আলম বুলবুলের বিরুদ্ধে অ্যামিকাস কিউরি নিয়োগ করেছে।
গণঅভ্যুত্থান সংক্রান্ত মামলার প্রেক্ষিতে দেওয়া বক্তব্যের কারণে শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগ নেতা শাকিল আলম বুলবুলের বিরুদ্ধে গত ৩০ এপ্রিল আদালত অবমাননার অভিযোগ দাখিল করেন চিফ প্রসিকিউটর। সেদিনই ট্রাইব্যুনাল অভিযোগ গ্রহণ করে তাদের ১৫ মের মধ্যে জবাব দিতে নির্দেশ দেয়। কিন্তু নির্ধারিত সময়েও কোনো জবাব না আসায়, ২৫ মে অভিযুক্তদের ট্রাইব্যুনালে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।
এর আগে একটি অডিওতে শেখ হাসিনাকে বলতে শোনা যায়- ‘আমার বিরুদ্ধে ২২৭টি মামলা হয়েছে, তাই ২২৭ জনকে হত্যার লাইসেন্স পেয়ে গেছি।’ অডিওটি ভাইরাল হওয়ার পর পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) ফরেনসিক বিশ্লেষণে সেটি সত্য বলে নিশ্চিত করে। এরপরই আদালত অবমাননার অভিযোগ জমা পড়ে ট্রাইব্যুনালে।