কুয়েট শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ছাত্রদল নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের সময় ধারালো অস্ত্র হাতে ভাইরাল হওয়া যুবদল নেতা মাহবুবুর রহমানকে গুলি করে এবং পায়ের রগ কেটে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।
আজ শুক্রবার (১১ জুলাই) দুপুর ১ টার সময় নিজ বাড়ির সামনে এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, আজ শুক্রবার দুপুরে বাড়ির সামনে নিজের প্রাইভেটকার পরিষ্কার করছিলেন মাহবুব। এ সময় মোটরসাইকেলে করে আসা তিন ব্যক্তি গাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে তাকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়েন। মাহবুব গুলিবিদ্ধ হয়ে পড়ে যান। এ সময় দুর্বৃত্তরা মৃত্যু নিশ্চিত করতে ধারালো অস্ত্র দিয়ে তার কুপিয়ে পায়ের রগ কেটে দেয়।
খুলনা মহানগর পুলিশের (কেএমপি) উপকমিশনার (উত্তর) মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বলেন, ‘মোটরসাইকেলে আসা তিনজনের হাতেই আগ্নেয়াস্ত্র ছিল। তারা মাহবুবুর রহমানের ওপর এলোপাতাড়ি গুলি করেন। আমরা ঘটনাস্থল থেকে পাঁচটি গুলির খোসা পেয়েছি। তার মাথা ও শরীরের বিভিন্ন অংশে গুলি লাগে। এরপর মৃত্যু নিশ্চিত করার জন্য রগও কেটে দেওয়া হয়েছে।’
প্রসঙ্গত, গত ১৮ ফেব্রুয়ারি খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) ছাত্ররাজনীতি বন্ধের বিষয় ঘিরে দফায় দফায় সংঘর্ষ ও পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনায় শতাধিক মানুষ আহত হয়। ওই সংঘর্ষের সময় রামদা হাতে দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায় যুবদল নেতা মাহবুবুর রহমানের একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। পরের দিন মাহবুবুরকে বহিষ্কার করে যুবদলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটি।