ঝালমুড়ির সঙ্গে চেতনানাশক ওষুধ মিশিয়ে এক তরুণীকে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। শুধু তাই নয়, ধর্ষণের পর ভিডিও ধারণ করে অনলাইনে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে ওই তরুণীকে আরও কয়েকবার ধর্ষণ করা হয়।
সম্প্রতি জয়পুরহাট জেলার পাঁচবিবি উপজেলার বাগজানা ইউনিয়নের একটি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পরে ভুক্তভোগীর বাবা বাদী হয়ে তিনজনকে আসামি করে পাঁচবিবি থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন।
মামলার আসামিরা হলেন আতাউর রহমান, নয়ন হোসেন ও তার স্ত্রী সালমা বেগম।
মামলার এজাহারে ওই তরুণী উল্লেখ করেন, সালমা বেগম তার পরিচিত। দুই মাস আগে গল্প করার জন্য তাকে নিজ বাড়িতে ডেকে নেন সালমা। এ সময় তাকে ঝালমুড়ি খেতে দেন তিনি। ঝালমুড়ি খাওয়ার কিছুক্ষণ পরই তরুণী অসুস্থ হয়ে পড়েন। আতাউর রহমান নামের এক মাদক ব্যবসায়ী তখন তরুণীকে ধর্ষণ করেন। গোপনে ধর্ষণের ভিডিও ধারণ করে রাখেন।
ঘটনাটি বাইরে জানালে ভিডিওটি অনলাইনে ছড়িয়ে দেওয়া এবং তরুণীর বাবাকে হত্যার হুমকি দেন তিনি। এই হুমকি দিয়ে তাকে একাধিকবার ধর্ষণ করা হয়। লোকলজ্জার ভয়ে তিনি ঘটনাটি কাউকে জানাতে পারেননি।
পাঁচবিবি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মইনুল ইসলাম জানান, মামলার দুই নম্বর আসামি সালমাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। প্রধান আসামি আতাউর রহমান ও নয়ন হোসেন পলাতক আছে। তাদেরও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।