জুলাই গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে ‘জুলাই হত্যাযজ্ঞের’ খুনিদের বিচারের দাবিতে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে গণস্বাক্ষর কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়েছে। একইসাথে শুরু হয়েছে পোস্টারিং ও চিত্র প্রদর্শনী।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র বিষয়ক পরিচালকের দপ্তর, চারুকলা স্কুল, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় ফটোগ্রাফি সোসাইটি এবং 35mm এর যৌথ উদ্যোগে এসব কর্মসূচি আয়োজন করা হয়।
আজ ১৫ জুলাই (মঙ্গলবার) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাফেটেরিয়া প্রাঙ্গণে প্রধান অতিথি হিসেবে এ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ রেজাউল করিম।
তিনি বলেন, ২০২৪ সালের জুলাইয়ের সেই নির্মম হত্যাযজ্ঞের চিত্র আজও চোখের সামনে ভেসে ওঠে। অনেক ছাত্র ও সাধারণ মানুষ এখনও আহত অবস্থায় চিকিৎসাধীন। তাদের আত্মত্যাগের মাধ্যমেই আমরা এক নতুন বাংলাদেশ পেয়েছি, ফিরে পেয়েছি স্বাধীনতার প্রকৃত স্বাদ। অথচ এখনো সেই খুনিদের বিচার হয়নি। বিচারের দাবিতেই আমাদের এই আয়োজন।
তিনি আরও বলেন, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্ররাজনীতি না থাকলেও শিক্ষার্থীরা রাজনীতি সম্পর্কে সচেতন। তাই তো দেশমাতৃকার প্রয়োজনে জুলাই অভ্যুত্থানে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে। এই আয়োজন শুধু স্মৃতিচারণ নয়, খুনিদের বিচারের দাবিকে শক্তিশালী করার একটি প্রতীকী প্রতিবাদ। এর মাধ্যমে বিচার প্রক্রিয়া আরও ত্বরান্বিত হবে বলে আমি মনে করি।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ হারুনর রশীদ খান। তিনি বলেন, বাংলাদেশে সংঘটিত হত্যাযজ্ঞগুলোর মধ্যে ‘জুলাই হত্যাযজ্ঞ’ অন্যতম নৃশংস। বিচারের দীর্ঘসূত্রিতা জনগণের মনে হতাশা সৃষ্টি করছে। বিশ্ববিদ্যালয় এই কর্মসূচির মাধ্যমে ন্যায়বিচারের দাবিকে আরও জোরদার করলো।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর ড. এস এম মাহবুবুর রহমান, কর্মসূচি আয়োজন কমিটির সভাপতি ও ছাত্র বিষয়ক পরিচালক প্রফেসর ড. মোঃ নাজমুস সাদাত এবং কমিটির সদস্য-সচিব ও খান বাহাদুর আহছানউল্লাহ হলের প্রভোস্ট প্রফেসর শরিফ মোহাম্মদ খান। অনুুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ড্রইং এন্ড পেইন্টি ডিসিপ্লিনের সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর ড. মোঃ নূরুন্নবী, আইন স্কুলের ডিন (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর শেখ মাহমুদুল হাসান, বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিন হলের প্রভোস্ট প্রফেসর ড. মোঃ সফিকুল ইসলাম, সহকারী ছাত্র বিষয়ক পরিচালক ড. তারেক বিন সালাম এবং অর্থ ও হিসাব বিভাগের পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) আবু সালেহ মোঃ পারভেজ, জনসংযোগ ও প্রকাশনা বিভাগের পরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মিজানুর রহমান খান, কাউন্সিল শাখা প্রধান (চলতি দায়িত্ব) মোঃ আশিক সিদ্দিকী, উপ-উপাচার্যের সচিব মোঃ শফিকুল ইসলাম, ট্রেজারারের সচিব এস. আতিকুর রহমানসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ডিসিপ্লিনের শিক্ষার্থী ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ।