স্থানীয়রা জানায়, দুই মাস আগে পটুয়াখালীর কলাপাড়ার স্বামীর বাড়িতে এসেছেন আমেরিকা প্রবাসী ওই নববধূ। গত সোমবার রাতের খাবার খেয়ে স্বামীর সঙ্গে একই শয়নকক্ষে ঘুমিয়ে পড়েন তিনি। হঠাৎ রাতের আধারে বসতঘরের প্রাচীরের গ্রিল কেটে ঘরে ঢোকে সংঘবদ্ধ ডাকাত দল। এ সময় শিশুসহ ঘরের সবাইকে একটি কক্ষে নিয়ে হাত-পা, চোখ–মুখ বেঁধে জিম্মি করে ফেলে। 

এরপর ডাকাতেরা অস্ত্র দিয়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে আলমারি ও শোকেসের চাবি জোর নেয়। তারা আলমারি ও শোকেস খুলে ১৩ ভরি স্বর্ণালংকার ও ৫০ হাজার টাকা লুট করে। পরিবারের সদস্যদের হাত–পা, মুখ ও চোখ বেঁধে একটি কক্ষে ফেলে রাখা হয়। আর নববধূকে অপর একটি কক্ষে নিয়ে চারজন মিলে পাশবিক নির্যাতন ও ধর্ষণ করে। ঘটনার পর গতকাল রাতে কলাপাড়া থানায় ডাকাতি ও ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন ভুক্তভোগী নববধূর স্বামী।

সরেজমিনে ওই বাড়িতে গিয়ে একতলা ভবনের প্রতিটি কক্ষে তাণ্ডবের চিত্র দেখা যায়। আলমারি, শোকেস, বিভিন্ন আসবাবপত্র ও গৃহস্থালির মালামাল তছনছ করা অবস্থায় পাওয়া যায়। বাড়িটির নারী–পুরুষ সবাই ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে পড়েছেন।

এ ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে গোটা এলাকাজুড়ে। ভয়ে আতকে উঠছেন স্থানীয় গৃহবধূরা। চাঞ্চল্যকর এ ঘটনার পর নড়েচড়ে বসে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। 

স্থানীয় বাসিন্দা নাসির তালুকদার বলেন, ‘আমাদের এলাকায় ডাকাতি ও নারী নির্যাতনের ঘটনায় আমরা আতঙ্কে দিন পার করছি। এভাবে চলতে থাকলে এই গ্রামের বসবাস করা আমাদের সম্ভব হবে না। প্রশাসনের কাছে দোষীদের শনাক্ত করে বিচারের দাবি জানাই।’

কলাপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ জুয়েল ইসলাম বলেন, থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করা হয়েছে। ইতোমধ্যে পটুয়াখালীতে ভুক্তভোগী নববধূর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে। তার জবানবন্দি নেওয়া হবে।