মান্দায় সপ্তম শ্রেণির এক ছাত্রী পাশবিক নির্যাতনের শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভিডিওটি ভাইরাল হওয়ার পর এলাকাজুড়ে তোলপাড় চলছে।
নির্যাতনকারীর পরিবার প্রভাবশালী হওয়ায় থানায় মামলা করতে যেতে পারছে না বলে অভিযোগ ভুক্তভোগী পরিবারের। অভিযুক্ত যুবকের নাম রিফাত হোসেন (২৪)।
তিনি নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলার বিনোদপুর গ্রামের শহিদুল ইসলামের ছেলে। ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর থেকে অভিযুক্ত রিফাত পলাতক।
ঘটনার শিকার স্কুলছাত্রীর মা বলেন, ‘আমার মেয়ে গত শনিবার দুপুরে এলাকার একটি দোকানে নুডলস কিনতে যায়। সে বিদ্যালয়ের কাছে পৌঁছালে সেখানে আগে থেকে ওত পেতে থাকা রিফাত মেয়ের মুখ চেপে ধরে নির্মীয়মাণ ওয়াশ ব্লকের ভেতরে নিয়ে যায়। সেখানে ধানী নামের এক ব্যক্তির সহায়তায় মেয়েকে ধর্ষণ করে রিফাত।’
তিনি বলেন, ‘মেয়ে দোকান থেকে নুডলস না কিনে বাড়ি ফিরে শুয়ে পড়ে। সারা দিন খাওয়াদাওয়াও করেনি। গত সোমবার মেয়ের ধর্ষণের একটি ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। এরপর মেয়েকে জিজ্ঞাসা করে ঘটনার বিষয়ে জানতে পারি।’
নির্যাতনের শিকার ওই স্কুলছাত্রী জানায়, ওয়াশ ব্লকের ভেতরে নিয়ে গিয়ে তার ছোট ভাইকে হত্যার হুমকি দিয়ে রিফাত তাকে পাশবিক নির্যাতন করে। এ সময় সেখানে ধানী নামের ওই ব্যক্তি বাইরে পাহারা দিচ্ছিল। ঘটনাটি প্রকাশ করলে তার বাবাকেও হত্যা করবে বলে হুমকি দেয় রিফাত। ভয়ে বাড়িতে কিছুই বলতে পারেনি ওই ছাত্রী।
মহাদেবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহিন রেজা বলেন, এ ব্যাপারে থানায় কেউ অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
স্কুলছাত্রীর বাবার অভিযোগ, আজ বুধবার (১৬ জুলাই) দুপুরে গ্রামের এক মাতবরের বাড়িতে ডেকে নিয়ে টাকার বিনিময়ে বিষয়টি মিটমাট করে নেওয়ার জন্য চাপ দেওয়া হয়। অভিযুক্তের পরিবার প্রভাবশালী হওয়ার কারণে থানায় যেতে পারছেন না তিনি।