উত্তরায় মাইলস্টোন কলেজ ক্যাম্পাসে বিমান বাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ২০ জন নিহত হয়েছেন।
আজ সোমবার (২১ জুলাই) এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী সায়েদুর রহমান।
এর মধ্যে সিএমএইচে ১২ শিক্ষার্থীর লাশ এবং জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ৪ জনের মরদেহ রয়েছে। এ ঘটনায় নারী ও শিশুসহ অন্তত ৫০ জনের বেশি দগ্ধ হয়েছেন। এদের মধ্যে বেশির ভাগই শিক্ষার্থী।
মৃতদের মধ্যে, একজনের নাম মো. তানভীর আহমেদ (অষ্টম শ্রেণি-ইংলিশ ভার্সন), অপরজনের নাম জুনায়েদ (তৃতীয় শ্রেণি)। জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগের আবাসিক সার্জন শাওন বিন রহমান এ কথা জানান।
তিনি বলেন, উত্তরায় একটি প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় দগ্ধ হয়ে নারী ও শিশুসহ অন্তত ৫০ জন জরুরি বিভাগে এসেছে। তাদের মধ্যে বেশিরভাগই শিক্ষার্থী। তাদের সবার অবস্থা আশঙ্কাজনক। দুপুরের পর থেকে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগে তাদের নিয়ে আসা শুরু হয়।
দেড়টার দিকে রাজধানীর উত্তরায় বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ বিমানটি মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের একটি ভবনে বিধ্বস্ত হয়। বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার পর মাইলস্টোন স্কুলের ভবনটিতে আগুন ধরে যায়।
ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে জানানো হয়, বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় বেশ কয়েকজনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে। এছাড়া আহত অনেককে বিমানবাহিনীর হেলিকপ্টারে করে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) নেওয়া হয়েছে।