মঙ্গলবার ৫ আগস্ট ২০২৫ ২১ শ্রাবণ ১৪৩২
মঙ্গলবার ৫ আগস্ট ২০২৫
রাজনৈতিক দলগুলো দখল-চাঁদাবাজির সংস্কৃতি অব্যাহত রেখেছে: টিআইবি
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: সোমবার, ৪ আগস্ট, ২০২৫, ৪:৩৪ PM
দেশের রাজনৈতিক দলগুলো আধিপত্য, দখল ও চাঁদাবাজির সংস্কৃতি বজায় রেখেছে বলে মন্তব্য করেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। 

সোমবার রাজধানীর ধানমন্ডিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ‘নতুন বাংলাদেশ: কর্তৃত্ববাদী সরকার পতন-পরবর্তী এক বছর’ শীর্ষক গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করে এ মন্তব্য করে সংস্থাটি। প্রতিবেদনে বিচার বিভাগ, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা, রাজনৈতিক সহিংসতা, দখল ও চাঁদাবাজির সংস্কৃতি, এবং জাতীয় সংস্কার উদ্যোগের অগ্রগতির বিভিন্ন দিক বিশ্লেষণ করা হয়েছে।

টিআইবি বলছে, রাজনৈতিক দলগুলো আধিপত্য, চাঁদাবাজি, দখলবাজির সংস্কৃতি অব্যাহত রেখেছে। ঢাকা শহরের ৫৩টি পরিবহন স্ট্যান্ড ও টার্মিনাল থেকে প্রতিদিন চাঁদা আদায় করা হচ্ছে প্রায় ২ কোটি ২১ লাখ টাকা, যা রাজনৈতিক দলের ছত্রছায়ায় পরিচালিত দখলবাজির সংস্কৃতির বহিঃপ্রকাশ।

প্রতিবেদনে বলা হয়, বিচার বিভাগের প্রত্যাশিত সংস্কার হয়নি, নিয়োগ হচ্ছে রাজনৈতিক বিবেচনায়। আইন কর্মকর্তাদের অনেক ক্ষেত্রে রাজনৈতিক বিবেচনায় নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে। নিয়োগ প্রাপ্ত বিচারকদের দক্ষতা ও অভিজ্ঞতার ঘাটতি রয়েছে।    
প্রতিবেদন অনুযায়ী, কিছু কিছু ক্ষেত্রে তড়িঘড়ি করে বিচার সম্পন্ন করা হচ্ছে। আদালত প্রাঙ্গণে বিশৃঙ্খলা বিচার ও আইনজীবীদের হেনস্তা করা হয়েছে।

টিআইবি বলছে, পুলিশ বাহিনীর কার্যক্রমেও রয়েছে পেশাদারিত্বের ঘাটতি ও দায়িত্ব পালনে অনাগ্রহ। সংস্থাটির মতে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মধ্যে পক্ষপাতমূলক আচরণ ও জবাবদিহির অভাব জনআস্থাকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কার্যক্রমে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ স্পষ্ট। এতে দুর্নীতির বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণে বাধা সৃষ্টি হচ্ছে। সুশাসনের ঘাটতি এ প্রক্রিয়াকে আরও দুর্বল করে তুলেছে।

প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, আগস্ট ২০২৪ থেকে জুন ২০২৫ পর্যন্ত সময়ে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত হয়নি। বরং ভিন্ন পন্থায় নিয়ন্ত্রণ বাড়ানো হয়েছে। এই সময়ে আটটি সংবাদপত্রের সম্পাদক, ১১টি বেসরকারি টেলিভিশনের বার্তা প্রধান ও  ১৫০ জন সাংবাদিক চাকরি হারিয়েছেন।

টিআইবির তথ্য অনুযায়ী, আগস্ট ২০২৪ থেকে জুন ২০২৫ পর্যন্ত দেশে ৪৭১টি রাজনৈতিক সংঘর্ষ হয়েছে। এতে নিহত হয়েছেন ১২১ জন, আহত ৫ হাজার ১৮৯ জন। এসব সংঘাতের ঘটনায় বিএনপি ৯২ শতাংশ, আওয়ামী লীগ ২২ শতাংশ,  জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ ৫ শতাংশ ও জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) এনসিপি ১ শতাংশ জড়িত। 
« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ
সম্পাদক ও প্রকাশক:
মো. আশরাফ আলী
কর্তৃক এইচবি টাওয়ার (লেভেল ৫), রোড-২৩, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২।
মোবাইল : ০১৪০৪-৪০৮০৫২, ০১৪০৪-৪০৮০৫৫, ই-মেইল : thebdbulletin@gmail.com.
কপিরাইট © বাংলাদেশ বুলেটিন সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত