শ্রীপুরে চেতনানাশক খাইয়ে ১১ বছরের এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে চার ব্যক্তির বিরুদ্ধে। মোবাইলে ঘটনার ভিডিও ধারণ করে ছড়িয়ে দেয়ার হুমকি দিয়ে বেশ কয়েকদিন ধরেই ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করে আসছিলো অভিযুক্তরা।
বিষয়টি জানাজানি হলে ভুক্তভোগী পরিবার গতকাল রবিবার থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন অভিযুক্ত চার জনের বিরুদ্ধে।
পরিবারের সূত্রে জানা গেছে, গত ১৫ দিন আগে স্কুল থেকে ফেরার পথে বৃষ্টি নামলে স্কুল ছাত্রী একটি দোকানে আশ্রয় নেন। পরক্ষণে অভিযুক্ত চারজন স্কুল ছাত্রীকে ঘুমের ওষুধ কোল্ড ড্রিংসের সাথে মিশিয়ে পান করান। সাথে সাথে ওই স্কুল ছাত্রী অজ্ঞান হয়ে পড়লে তাকে পাশের একটি জঙ্গলে নিয়ে ধর্ষণ করেন। এবং ধর্ষণের চিত্র মুঠোফোনের ধারণ করে ওই ছাত্রীকে ভয় দেখিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করেন।
সবশেষ গত বৃহস্পতিবার বিকেলে আবারও স্কুল থেকে ফেরার পথে ভুক্তভোগীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করে অভিযুক্তরা। একপর্যায়ে অচেতন হয়ে পড়লে ওই কিশোরীকে জঙ্গলের পাশে ফেলে পালিয়ে যায় তারা।
খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে মেয়েটিকে জঙ্গলের পাশে পড়ে থাকতে দেখে বাড়ি নিলে সবকিছু জানাজানি হয়। পরে রোববার সন্ধ্যায় ভুক্তভোগীর বাবা শ্রীপুর থানায় চারজনকে আসামি করে থানায় মামলা করেন।
অভিযুক্তরা হলেন উপজেলার কাওরাইদ ইউনিয়নের কাওরাইদ গ্রামের মো. শফিকুল ইসলাম (৩৫), জসিম উদ্দিন (৩০), মো. বাবুল মিয়া (২৫) ও সাব্বির আহমেদ (২০)।
শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল বারিক অভিযোগের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে। আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযানে চলছে।