সেনাবাহিনীর একজন জ্যেষ্ঠ সেনা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নারী নির্যাতন সংক্রান্ত একটি অভিযোগ প্রচারিত হয়েছে। এ নিয়ে অভিযোগের প্রেক্ষিতে উচ্চপদস্থ তদন্ত বোর্ড গঠন করা হয়েছে বলে জানিয়েছে সেনাবাহিনী।
আজ শুক্রবার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে পোস্ট করা একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তি থেকে এই তথ্য জানা যায়।
সেনাবাহিনীর প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একজন জ্যেষ্ঠ সেনা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নারী নির্যাতন সংক্রান্ত একটি অভিযোগ প্রচারিত হয়েছে, যেখানে অভিযোগকারী একজন সাবেক সেনা কর্মকর্তার প্রাক্তন স্ত্রী। উল্লেখ্য যে, উক্ত সাবেক সেনা কর্মকর্তা পূর্বে একটি চাঞ্চল্যকর অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হয়ে চাকরি থেকে বরখাস্ত হন এবং বর্তমানে তিনি জেলে কারাদণ্ড ভোগ করছেন।’
অভিযোগটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত হওয়ার আগেই এ সম্পর্কে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী অবগত হয জানিয়ে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, যথাযথ গুরুত্বের সাথে তদন্ত কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। তবে অভিযোগকারী নারীর সামাজিক মর্যাদা ও ঘটনাটির সংবেদনশীলতা বিবেচনা করে সেনাবাহিনী কর্তৃক যথাযথ সাবধানতা অবলম্বন করে সেনা আইন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছিল।
ইতিপূর্বেই, অভিযুক্ত উর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে নিজ দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি প্রদান করা হয়েছে এবং ঘটনাটির প্রকৃত সত্য উদঘাটনে একটি উচ্চপদস্থ তদন্ত বোর্ড গঠন করা হয়েছে। বর্তমানে উক্ত জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সেনাবাহিনী থেকে কোনো সদস্য বরখাস্ত হলে নিয়ম অনুযায়ী তার চিকিৎসা, সরকারি বাসস্থান বা অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা পাওয়ার কথা নয়। তবে মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে, উক্ত প্রাক্তন সেনা কর্মকর্তার সন্তানের এসএসসি পরীক্ষা বিবেচনা করে পরিবারটিকে সাময়িকভাবে সরকারি বাসস্থানে থাকার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী নৈতিক মূল্যবোধ ও শৃঙ্খলার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ এবং এ ধরনের নীতিভ্রষ্ট ও নীতি-বিবর্জিত কার্যক্রমকে কখনোই প্রশ্রয় দেয় না।