নিজের ব্যক্তিগত কক্ষে ডেকে নিয়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগ উঠেছে পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ড. প্রভাস কুমার কর্মকারের বিরুদ্ধে।
ঘটনার পর সুষ্ঠু বিচার চেয়ে বিভাগের সভাপতি বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগী ছাত্রীর মা। এ ঘটনা তদন্তে বিভাগের শিক্ষকদের দ্বারা গঠিত একটি ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি কাজ করছে বলে বিভাগের সভাপতি জানিয়েছেন।
যৌন হয়রানির দায়ে অভিযুক্ত প্রভাস কুমার কর্মকার পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষক, বঙ্গবন্ধু শিক্ষা ও গবেষণা পরিষদের সভাপতি এবং জনসংযোগ দপ্তরের সাবেক প্রশাসক। ভুক্তভোগী একই বিভাগের মাস্টার্সের ছাত্রী।
সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র জানায়, গত ৪ আগস্ট অধ্যাপক প্রভাস কুমার ভুক্তভোগী ছাত্রীকে তার চেম্বারে ডেকে শারীরিকভাবে ও মানসিকভাবে লাঞ্ছিত করেন। এর আগে মূলত ক্লাস অ্যাটেনডেন্সের পারসেন্টেজ জানতে ওই শিক্ষার্থী শিক্ষকের চেম্বারে যান। তখন ওই শিক্ষক তাকে অন্য একদিন ফোন দিয়ে আসতে বলেন।
পরবর্তীতে তিনি শিক্ষকের কক্ষে গেলে শিক্ষক তাকে সাজেশনের কথা বলে পরীক্ষার প্রশ্ন দেন এবং ছবি তুলতে নিষেধ করেন। শুধু খাতায় লিখতে বলেন। এই সময় অভিযুক্ত শিক্ষক তার শরীরে অশোভন স্পর্শ করেন এবং কুরুচিপূর্ণ প্রস্তাব দেন। এ ঘটনার পর থেকে ওই ছাত্রী মানসিকভাবে ট্রমার মধ্যে পড়ে যায়।
ভুক্তভোগী ছাত্রীর সহপাঠীরা জানান, তার সাথে খুবই মর্মান্তিক ও বিকৃত ঘটনা ঘটেছে। তিনি মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন। তাকে সাইকোলজিস্ট দেখানো হয়েছে। মেয়ের এই অবস্থা দেখে পরিবারও ভেঙে পড়েছে। আমরা এ রকম ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।
অভিযুক্ত শিক্ষক অধ্যাপক ড. প্রভাস কুমার কর্মকারকে মুঠোফোনে সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি তাৎক্ষণিক কল কেটে দেন।
বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. রেজাউল করিম বলেন, অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করার জন্য একটি ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি কাজ করছে। তাদের দ্রুত সময়ের মধ্যে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে।