সোমবার ১০ নভেম্বর ২০২৫ ২৬ কার্তিক ১৪৩২
সোমবার ১০ নভেম্বর ২০২৫
পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের গাফিলতি
কালীগঞ্জে ৩-৪ মাসের বিদ্যুৎ বিল একসাথে, গ্রাহকের বোঝা
কালীগঞ্জ (গাজীপুর) প্রতিনিধি
প্রকাশ: সোমবার, ১০ নভেম্বর, ২০২৫, ২:০৩ PM
গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলার জাংগালিয়া ইউনিয়নের সরিষারচালা, বরাইয়া উত্তরপাড়া ও দুবরিয়া গ্রামের প্রায় আটশত পল্লী বিদ্যুৎ গ্রাহক কয়েক মাসের বিদ্যুৎ বিল একত্রে পেয়ে হতবাক হয়ে পড়েছেন।

গ্রাহকরা অভিযোগ করেছেন, মাসিক বিল না পাওয়া এবং একসাথে বিল ও জরিমানা পাঠানোর ফলে তাদের নিত্য জীবন ও অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড বিপর্যস্ত হচ্ছে।

দুবরিয়ার গ্রামের ব্যাটারী চালিত অটোরিকশা চালক মো. মোজাফফ হোসেন (৫৮) বলেন, কয়েক মাস ধরে আমাদের বাড়িতে কোনো বিল আসেনি। হঠাৎ ৩-৪ মাসের বিল একত্রে এসেছে। আমি নিয়মিত বিল পরিশোধ করি। তবে বিদ্যুৎ অফিসের ভুলের জন্য আমাকে এত টাকা একসাথে দেওয়ার দায় দেওয়া হচ্ছে, এটা মেনে নিতে পারছি না।

একই গ্রামের দুবরিয়া বাজারের রিকশা মেকার মুসাদ শেখ জানিয়েছেন, আমার একত্রে বিল এসেছে ৫ হাজার টাকা। একজন সাধারণ মেকার হিসেবে এত টাকা একসাথে পরিশোধ করা আমার পক্ষে সম্ভব নয়। সংসার চালাবো নাকি বিল পরিশোধ, এই দ্বিধায় পড়েছি।

স্থানীয় মুদি দোকানদার শামসুল ভূঁইয়া বলেন, প্রতিমাসে আমাদের বিল পাঠানো হোক, এতে সমস্যা নেই। কিন্তু তিন-চার মাসের বিল একত্রে পাঠিয়ে জরিমানা নেওয়া পল্লী বিদ্যুতের দোষ। আমাদের কাছ থেকে কেন তা নেওয়া হবে?

কলেজ শিক্ষার্থী কাউছার মন্তব্য করেছেন, গ্রামে বিভিন্ন শ্রেণির মানুষ বসবাস করে। সব মানুষের পক্ষে একত্রে বিল পরিশোধ করা সম্ভব নয়। মাসিক বিল না আসার ফলে এমন সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে।

বরাইয়া গ্রামের আব্দুল মান্নান ফকির বলেন, আমরা বারবার ডিজিএমকে জানিয়েছি। তারপরও কয়েক মাসের বিল একত্রে পাঠানো হয়েছে। কিন্তু মিটার রিডিং নেওয়ার জন্য কেউ আমাদের বাড়িতে আসেনি।

একই গ্রামের গৃহিনী আছমা জানান, আমরা প্রতিমাসে বিদ্যুৎ বিল দিই। চার মাস ধরে কোনো বিল আসেনি। এখন চার মাসের জরিমানা নিয়ে আসা হয়েছে। খেয়ে না খেয়ে বিল পরিশোধ করতে হচ্ছে। এ সমস্যা আমরা করি না, অথচ জরিমানা দিতে হচ্ছে।
 
পল্লী বিদ্যুৎ কালীগঞ্জ জোনাল অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (ডিজিএম) আক্তার হোসেন এ ব্যাপার প্রতিবেদককে বলেন, গত মাসে একটি অভিযোগ পেয়েছিলাম। প্রাথমিক তদন্তে শেষ মাসের বিলের সত্যতা পেয়েছি। আগের মাসের বিষয়গুলি আমাদের জানা ছিল না। গ্রাহকরা বিল না পেলে সাথে সাথে অফিসে জানাতে হবে। চাইলে কালীগঞ্জ অফিসে এসে বিলগুলো ভেঙে ভেঙে নেওয়া সম্ভব। যেই কর্মচারী এই কর্মকাণ্ডে জড়িত, তাকে লিখিত অভিযোগসহ পল্লী বিদ্যুৎ গাজীপুর জেনারেল ম্যানেজারের (জিএম) কাছে পাঠানো হয়েছে।
« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ
সম্পাদক ও প্রকাশক:
মো. আশরাফ আলী
কর্তৃক এইচবি টাওয়ার (লেভেল ৫), রোড-২৩, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২।
মোবাইল : ০১৪০৪-৪০৮০৫২, ০১৪০৪-৪০৮০৫৫, ই-মেইল : thebdbulletin@gmail.com.
কপিরাইট © বাংলাদেশ বুলেটিন সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত