দেশকে দুর্নীতি মুক্ত, সন্ত্রাস, নৈরাজ্য ও ফ্যাসিষ্ট সরকারের দোষরা হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার করে দেশকে হুমকির মুখে রেখে ছাত্র আন্দোলনের মাধ্যমে ভারতে পালিয়েছে খুনি হাসিনা। দীর্ঘ বছর আপনারা অন্য প্রতিকে ভোট দিয়েছেন এবার দাঁড়িপাল্লায় মার্কায় ভোট দিয়ে দেখুন আমরা আপনাদের আমানত কিভাবে রক্ষা করি। পুরাতন মার্কাকে ভোট দিয়ে আবার খাদে পড়ার চেষ্টা করবেন না।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী দল বিভাজনের রাজনীতি করে না। জামায়াতে ইসলামীর নেতা কর্মীদের টাকার বিনিময়ে কেনা ও যায়না এটা আওয়ামীলীগ ভাল করে জানতো এজন্য জামায়াতের ওপর বর্বরোচিত নির্যাতন চালানো হয়েছিল।
বুধবার (১২ নভেম্বর ) সকাল ১০ ঘটিকার সময় ফেনীর দাগনভূঞা পৌর শহর জিরো পয়েন্টে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি ও বর্তমান নির্বাহী কমিটির সদস্য এটিএম আজহারুল ইসলাম পথসভায় অংশগ্রহণ করে এসব কথা বলেন তিনি।
এ সময় তিনি বলেন, জুলাই আগষ্টের আন্দোলন শুধু মাত্র নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতার পালাবদলের জন্য হযনি দেশের রাজনীতির একটা গুনগত পরিবর্তন হতে হবে। তা নাহলে দেশে আবার হাসিনার মত সৈরাচার তৈরী হবে। ফ্যাসিষ্ট খুনী সরকার কখনও দেশের ভালো চাননি, তার দেশপ্রেম ছিলো ভারতকেন্দ্রিক। ২০২৫ সালে হিন্দু সম্প্রদায়ের বড় উৎসব দূর্গা পূজায় এবার একটি মন্দিরে হামলার বা ভাঙ্গার ঘটনা ঘটেনি। আমরা দল বর্ণ নির্বিশেষে দায়িত্ব পালন করি। কিন্ত বিগত ফ্যাসিষ্ট সরকারের আমলে হিন্দুদের মন্দিরে হামলা করে অন্যদের উপর দোষারোপ করে। এটা তাদের রাজনৈতিক কৌশল। হত্যা, গুম, আয়নাঘর, জ্বালাও পোড়াও রাজনীতি শিষ্টাচার আওয়ামীলীগ করেছিলো কিন্ত তারা আজ কোথায়!
এ টি এম আজহার বলেন, হাসিনা বলেছিলো আওয়ামীলীগ পালায়না অথচ তারা ভাত , মাছ রান্না করে না খেয়ে পালিয়েছে । সে যে দেশ থেকে এসছিল সেই ভারতে চলে গেছে । জামায়াতে ইসলামীর ওপর ১৭ বছর জুলুম , নির্জাতন , হত্যা ,গুম খুন ফাঁসি সহ আওয়ামীলীগ সকল নির্যাতন চালিয়েছে। কিন্তু আমাদের একজন নেতা কর্মীও দেশ ছেড়ে পালায়নি।
তিনি বলেন, আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য দেশকে ভারতের হাতে তুলে দিয়ে ছিল । জাময়াত তার বিরোধিতা করেছিল, যার কারনে আওয়ামীলীগ জামায়াতের ওপর অকথ্য নির্যাতন চালিয়ে ছিল। তারপরও জামায়াতের নেতা কর্মী কমেনি বরং বৃদ্ধি পেয়েছে । অত্যাচার করলে ইসলামী আন্দোলন বৃদ্ধি পায় কমে না। আমাদের জাতীয় নেতাদের ফাঁসি দেয়া হয়েছে, জেলে নির্যাতন করে মেরে ফেলা হয়েছে। হাজার হাজার নেতাকর্মীদের হত্যা, গুম, নির্যাতন করা হয়েছে কিন্ত বাংলাদেশ ইসলামি ছাত্র শিবির ও জামায়াতে ইসলামীর দলকে ধমাতে পারেনি বরং আমরা জনগনের মাঝে ক্রমান্বয়ে জায়গা করে নিয়েছি। আপনারা দেখুন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্বাচনের মাধ্যমে বিশাল ব্যবধানে ভিপি, জিএস সহ অন্যান্য পদে জয়লাভ করেন। এটা জামায়াতে ইসলামীর আদর্শগত চেতনার বহিঃপ্রকাশ। বিগত বিএনপির জোট সরকারের আমলে মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী সহ দুইজন সংসদ সদস্য ও পরে মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন। একজনকেও দুর্নীতির প্রমাণ দেখাতে পারেননি। অথচ ইসলামী ব্যাংককে ধ্বংস করার জন্য শেখ হাসিনা বারবার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছে। দেশের অর্থনৈতিক থেকে শুরু করে সর্বক্ষেত্রে লোপাট করে বিদেশে পালিয়েছে কিন্ত জামায়াতে ইসলামীর দল কখনও পালায়নি, পালাবেও না ইনশাআল্লাহ।
তিনি দাগনভূঞা-সোনাগাজী আসনে দলীয় মনোনীত প্রার্থী হিসেবে ড. ফখরুদ্দিন মানিককে ভোট দিয়ে সুযোগ দেয়ার অনুরোধ জানান। এ আসনে জামায়াতে ইসলামী থেকে সুযোগ্য প্রার্থী হিসেবে ডা. ফখরুদ্দিন মানিক আপনাদের সেবায় নিয়োজিত থাকবেন।
তিনি আরও বলেন, আগামী নির্বাচনে ভোট বিপ্লবের মাধ্যমে জামায়াত ইসলামী সমাজ কায়েম করতে চায়।
এ টি এম আজহারুল ইসলাম জামায়াতের দায়িত্বশীলদের উদ্দেশ্যে বলেন, কালেমার দাওয়াত মানুষের ঘরে ঘলে পৌছে দিতে হবে। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী গনতন্ত্রে বিশ্বাস করে। আমরা মানুষকে আমাদের আদর্শের কথা বলব , সহযোগিতা করব ভাল আচরনের মাধ্যমে ভোটারদের মন জয় করার চেষ্টা করব।
বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামী দাগনভূঞা উপজেলার সেক্রেটারি মো. কামাল উদ্দিন পাটোয়ারীর সঞ্চালনায় সভাপতি সালেহ উদ্দিন আহমেদ এর সভাপতিত্বে পথসভায় উপস্থিত ছিলেন, মুফতি আবদুল হান্নান, জেলা সুরা সদস্য এ এস এম নুরনবী দুলাল, গাজী মেজবাহ উদ্দিন সাঈদ, সোনাগাজী দাগনভূঞা উন্নয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ডা. ফখরুদ্দিন মানিক, বিডিবির চেয়ারম্যান ও সাবেক কমিশনার নজির আহম্মদসহ, উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের নেতাকর্মী ও হাজার হাজার দলীয় সমর্থকগণ পথসভায় যোগদান করেন।