জুলাই আন্দোলন চলাকালীন সময়ে ১৯ জুলাই মিরপুর এলাকায় গুলিবিদ্ধ হন চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার শংকরচন্দ্র ইউনিয়নের শংকরচন্দ্র গ্রামের আবু সাইদের মেজো ছেলে শাহরিয়ার শুভ। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে ঢাকার একটি হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২৩ জুলাই তার মৃত্যু হয়।
ময়নাতদন্ত ছাড়াই তার লাশ শংকরচন্দ্র গ্রামের কবরস্থানে দাফন করা হয়। দীর্ঘদিন পর তদন্তের জন্য ঢাকা সিএমএম আদালত লাশ উত্তোলন করে ময়নাতদন্তের আদেশ দেন।
চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আশফাকুর রহমানের নেতৃত্বে জেলা পুলিশের একটি টিমসহ সকাল ১১টার সময় উক্ত কবরস্থানে উপস্থিত হন।
কিন্তু যথাসময়ে সেখানে উপস্থিত হয়ে শহীদ শাহরিয়ার শুভর পরিবারের সদস্যরা লাশ উত্তোলন না করার জন্য জোর আপত্তি জানান। একপর্যায়ে তাদের আপত্তি ও অনুরোধে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পরিবারের সদস্যদের থেকে লিখিত আপত্তিপত্র নিয়ে লাশ উত্তোলন স্থগিত করেন।
এসময় প্রশাসন ও পুলিশের সদস্যসহ উপস্থিত ছিলেন শংকরচন্দ্র ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মহিউল আলম সুজন, ১ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মারুফ হাসান দলুসহ স্থানীয় জনতা।