আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে দেশে জাল নোট ছড়ানোর আশঙ্কায় সতর্ক অবস্থায় রয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা জানিয়েছে, কিছু অসাধু চক্র নির্বাচনী সময়ে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি ও ভোটারদের বিভ্রান্ত করতে বাজারে জাল নোট ছড়ানোর চেষ্টা করতে পারে। এমনকি এসব জাল নোট নির্বাচনি প্রক্রিয়ায় প্রভাব ফেলতেও ব্যবহৃত হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
সম্প্রতি ভারত সীমান্ত দিয়ে জাল নোট বাংলাদেশে প্রবেশের কয়েকটি ঘটনা ঘটার পর বিষয়টি নিয়ে নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসন। বিশেষ করে দেশের সবচেয়ে ব্যস্ত স্থলবন্দর বেনাপোল সীমান্তে নজরদারি আরও জোরদার করা হয়েছে।
বিজিবি সূত্রে জানা গেছে, সীমান্ত এলাকা সাদিপুর, ঘিবা, ধান্যখোলা, শিকারপুর, পুটখালী, রঘুনাথপুর, রুদ্রপুর, গোগা ও অন্যান্য সীমান্ত পয়েন্টে কড়াকড়ি নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশনে যাত্রী ও পণ্যবাহী গাড়িতে তল্লাশি বাড়ানো হয়েছে। একই সঙ্গে বেনাপোল স্থলবন্দরে প্রবেশ ও প্রস্থানকারী যাত্রীদের লাগেজ স্ক্যানিং, নোট শনাক্তকরণ যন্ত্রের মাধ্যমে পরীক্ষা এবং গোয়েন্দা নজরদারি আরও শক্তিশালী করা হয়েছে।
যশোর ৪৯ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাইফুল্লাহ সিদ্দিকী বলেন, “নির্বাচন সামনে রেখে সীমান্তে জাল নোট, অস্ত্র ও অন্যান্য চোরাচালান রোধে বিজিবি সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় রয়েছে। যে সকল সীমান্তে সম্ভাব্য চোরাচালানের আশঙ্কা আছে, সেই সকল রাস্তা সিল করে দেওয়া হয়েছে— যাতে কোনো প্রকার অবৈধ প্রবেশ বা চোরাচালান না ঘটে।”
তিনি আরও জানান, সীমান্তে দায়িত্বপ্রাপ্ত টহল দলগুলোকে বাড়তি নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে এবং স্থানীয়দেরও সন্দেহজনক কার্যক্রম দেখলে তাৎক্ষণিকভাবে কর্তৃপক্ষকে জানানোর অনুরোধ জানানো হয়েছে।
এদিকে, সীমান্ত এলাকার সাধারণ মানুষও নিরাপত্তা জোরদারের বিষয়টি ইতিবাচকভাবে নিয়েছেন। স্থানীয়দের মতে, এ ধরনের পদক্ষেপে শুধু নির্বাচনি সময় নয়, সারাবছরই চোরাচালান ও অবৈধ বাণিজ্য নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব হবে।