পটুয়াখালী পৌর এলাকার ঝাউতলায় নির্মিত জুলাই স্মৃতিস্তম্ভে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। গত রাতের যেকোনো সময়ে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পরপরই এর একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পরে।
আজ শুক্রবার (১৪ নভেম্বর) সকালে স্থানীয় বাসিন্দারা স্মৃতিস্তম্ভের নিচের অংশে আগুনের চিহ্ন ও কালো দাগ দেখতে পান। এ ঘটনায় এলাকাজুড়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
ঝাউতলা এলাকার কয়েকজন বাসিন্দা বলেন, গভীর রাতে কে বা কারা এসে এখানে আগুন ধরানোর চেষ্টা করেছে, আমরা বুঝতে পারছি না। সকালে এসে দেখি আগুনের পোড়া দাগ, এখান থেকে পেট্রোলেরও গন্ধ পাচ্ছি।
পটুয়াখালী জেলার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক ও জুলাইযোদ্ধা তোফাজ্জেল হোসেন বলেন, এ ঘটনা জুলাইয়ের চেতনায় আঘাতের শামিল। আশাকরি, পটুয়াখালী জেলা পুলিশ অতি দ্রুত দোষীদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনবেন, প্রশাসনের প্রতি আমাদের আস্থা আছে।
পটুয়াখালী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, দোষীদের চিহ্নিত করতে ইতোমধ্যে সিসিটিভির ফুটেজ সংগ্রহ করা হচ্ছে। এলাকায় নিরাপত্তার জন্য পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।
ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে দেখা যায়, কাপড়ে মুখ ঢেকে এক ব্যক্তি জুলাই স্মৃতিস্তম্ভে আগুন ধরিয়ে দ্রুত স্থান ত্যাগ করেন। এমন একটি ভিডিও পোস্ট করেন নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের পটুয়াখালী জেলা শাখার সভাপতি সাইফুল ইসলাম।
পোস্টে তিনি উল্লেখ করেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী জুলাই স্মারক নামের নোংরা জিনিস পটুয়াখালীর পবিত্র মাটিতে থাকতে পারে না।’
ছাত্রলীগ নেতার ওই পোস্টে জুলাই স্মৃতিস্তম্ভে আগুন দেওয়ার সমর্থন জানান কয়েকজন অনুসারী। কানিজ আরেফিন সিদ্দিক ও সবুজ মাহামুদ মন্তব্য করেন, ‘একাত্তরের হাতিয়ার গর্জে উঠুক আরেকবার।’