বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে বিএনপি সরকারে এলে ১৮ মাসের মধ্যে দেশের ১ কোটি মানুষের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হবে। এতে বাংলাদেশের প্রতিটি পরিবারের কেউ না কেউ চাকরি পাবে। ইতিমধ্যেই তাঁর বিস্তারিত সব পরিকল্পনা প্রস্তুত করেছে বিএনপি।
শুক্রবার (১৪ নভেম্বর) সন্ধ্যায় বাঁশখালী উপজেলার পাইলট স্কুল মাঠে সাবেক বন ও পরিবেশ প্রতিমন্ত্রী ও চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি মরহুম জাফরুল ইসলাম চৌধুরীর স্মরণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, এদেশের প্রতিটি মানুষ বিনামূল্যে স্বাস্থ্য সেবা পাবে, কারিগরি শিক্ষা পাবে। যোগ্যতা অনুযায়ী দেশ ও বিদেশে চাকরি পাবে। আগামী দিনে দক্ষ শ্রমিকদের মজুরি দ্বিগুণ হবে। বাংলাদেশের প্রতিটি জেলার মানুষকে এদেশের অর্থনীতির সাথে সংযুক্ত করা হবে। বাংলাদেশের মানুষের মানোন্নয়নের জন্য যা যা দরকার সবিই বিএনপি করবে।
জাফরুল ইসলাম চৌধুরীর স্মরণে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, জাফরুল ইসলাম চৌধুরী ছিলেন একজন দক্ষ, সৎ, কর্মঠ ও নিষ্ঠাবান রাজনীতিবীদ। মৃত্যুর শেষদিন পর্যন্ত বিএনপির সাথে ছিলেন। তাঁর মৃত্যু হয়েছে দলের কর্মসূচী পালন করতে গিয়ে। চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলার লক্ষ লক্ষ বিএনপি কর্মীকে আখলে রেখেছিলেন। নতুন ব্রীজের উত্তরে হোক বা দক্ষিণে হোক বিএনপির প্রতিটি কর্মসূচীতে জাফর ভাই উপস্থিত থাকতেন। বাঁশখালীতে জাফর ভাই না থাকলেও তাঁর সন্তান পাপ্পা রয়েছে। জাফর ভাই যেদিকে গেছিলেন, বাঁশখালীর মানুষও সেদিকে যাবেন। বাঁশখালীর আসনে মিশকাতুল ইসলাম পাপ্পাকে বিজয়ী করলে জাফর ভাইয়ের আত্মা শান্তি পাবে। আমি আশাবাদী বাঁশখালীর মানুষ ধানের শীষকে বিপুল ভোটে জয়যুক্ত করবেন।
আমীর খসরু বলেন, একটি গোষ্ঠী বিগত দিনে লুটপাটে জড়িত ছিলেন। তাঁরা দেশ থেকে বিতাড়িত হয়েছে। তাই আগামীতে অর্থনৈতিক উন্নয়নের সুফল ভোগ করবে জনগণ। দেশের প্রতিটি ক্ষেত্রে তারেক রহমান বিশাল কর্মসূচী হাতে নিয়েছেন। তবে নির্বাচিত সরকার ছাড়া দেশ চলতে পারে না। যার কারণে দেশের অর্থনীতিসহ সবকিছু স্থবির হয়ে গেছে। দেশের স্বার্থে ফেব্রুয়ারীর প্রথম সপ্তাহে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন দিয়ে গনতান্ত্রিক নির্বাচিত সরকারকে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে। আর সেই সরকার জনগণের কাছে দায়বদ্ধ থাকবে। তাই আগামী নির্বাচনে ধানের শীষের বিজয়ের মাধ্যমে ও তারেক রহমানের ৩১ দফা বাস্তবায়নের মধ্যে দিয়ে দেশ পরিচালনা করা হবে।
স্মরণ সভায় চট্টগ্রাম দক্ষিণ বিএনপির সিনিয়র সদস্য ও মরহুম জাফরুল ইসলাম চৌধুরীর জ্যৈষ্ঠ সন্তান জহিরুল ইসলাম চৌধুরী আলমগীরের সভাপতিত্বে, বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিএনপির চট্টগ্রামের বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মোহাম্মদ ইদ্রিস মিয়া, সাবেক সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক পটিয়া আসনে ধানের শীষের প্রার্থী এনামুল হক এনাম, যুগ্ম আহ্বায়ক ও চট্টগ্রাম-১৬ বাঁশখালী আসনে বিএনপির মনোনীত ধানের শীষের প্রার্থী মিশকাতুল ইসলাম চৌধুরী পাপ্পা, জেলা বিএনপির সিনিয়র সদস্য ইফতেখার হোসেন চৌধুরী মহসিন, বাঁশখালী পৌরসভা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সাবেক পৌর মেয়র কামরুল ইসলাম হোসাইনী, জেলা পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাড. আশরাফ হোসেন চৌধুরী রাজ্জাক।
এসময় দক্ষিণ জেলা যুবদল সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট শওকত ওসমান ও পৌরসভা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাড. নাছির উদ্দীনের যৌথ সঞ্চালনায়, আরও উপস্থিত ছিলেন দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাবেক প্রচার সম্পাদক সাখাওয়াত জামাল দুলাল, সাবেক সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক শহিদুল ইসলাম বুলবুল, বাঁশখালী উপজেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক মাস্টার লোকমান আহমদ, বাঁশখালী পৌরসভা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক রাসেল ইকবাল মিয়া, উপজেলা বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব রেজাউল হক চৌধুরী, সাবেক সাধারণ সম্পাদক আমিনুর রহমান চৌধুরী, সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইব্রাহীম খলিল, পৌরসভা বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব খোরশেদ আলম আয়ুব, আখতার হোসেন চেয়ারম্যান, মো. শাহজাহান চৌধুরী চেয়ারম্যান, মোহাম্মদ মহসিন চেয়ারম্যান প্রমুখ।