জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেছেন, একই দিনে গণভোট আর জাতীয় নির্বাচন দেওয়ায় জনগণকে সংকটে ফেলে দেওয়া হয়েছে। ঘোষণা সংশোধন করে জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোট দিন, জনগণের মতামতই হবে সরকারের ভিত্তি।
তিনি আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় খুলনা মহানগরীর দৌলতপুর শহীদ মিনার চত্বরে স্থানীয় থানা জামায়াতে ইসলামী আয়োজিত জনসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন।
মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, আগামী ২৬ সালের জাতীয় নির্বাচনের আইনি কোনো ভিত্তি নেই। সংবিধানে প্রতি পাঁচ বছর অন্তর অন্তর নির্বাচন হওয়ার কথা আছে। সর্বশেষ নির্বাচন হয়েছে ২০২৪ সালে। সংবিধানের অনেক ধারা এবং অনেক অনুচ্ছেদে অকার্যকর হয়ে পড়েছে। সেখানে প্রধান উপদেষ্টা কিভাবে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান হয়েছেন তাও সংবিধানের নেই।
তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশের সংবিধানের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কোনো বিধান নেই। সুপ্রিম কোর্টের একটি রেফারেন্সের ভিত্তিতে এই সরকার ক্ষমতা গ্রহণ করেছেন। কিন্তু এই রেফারেন্সে কখনো ক্ষমতা গ্রহণের ভিত্তি হতে পারে না। সেই কারণে বর্তমান অন্তবর্তীকালীন সরকার যেমন সংবিধানে নেই, নির্বাচনের মেয়াদ সংবিধানে নেই। প্রধান উপদেষ্টা সংবিধানে নেই। সুতরাং জুলাই সনদ একমাত্র সংবিধানের অংশ হতে পারে আর এর মাধ্যমেই সকল বিষয়কে আইনি ভিত্তি দেওয়া যেতে পারে।
দৌলতপুর থানা জামায়াতে ইসলামীর আমীর মু. মুশাররফ আনসারীর সভাপতিত্বে প্রধান বক্তা ছিলেন খুলনা-৩ (দৌলতপুর-খালিশপুর, খানজাহান আলী ও আড়ংঘাটা থানা) আসনের জামায়াতে ইসলামীর সংসদ সদস্য প্রার্থী ও মহানগর আমীর অধ্যাপক মাহফুজুর রহমান।
বক্তৃতা করেন জামায়াতে ইসলামীর খুলনা অঞ্চল টিম সদস্য মাস্টার শফিকুল আলম, খুলনা মহানগর ছাত্রশিবিরের সভাপতি আরাফাত হোসেন মিলন, অধ্যাপক নজিবুর রহমান, মহানগর সেক্রেটারি ও খুলনা-২ আসনের সংসদ সদস্য প্রার্থী অ্যাডভোকেট শেখ জাহাঙ্গীর হুসাইন হেলাল, অ্যাডভোকেট মুহাম্মদ শাহ আলম, অধ্যক্ষ শেখ জাহাঙ্গীর আলম, আজিজুল ইসলাম ফারাজী, গাউসুল আযম হাদী, অধ্যাপক শহীদুল ইসলাম, জেলা ছাত্র শিবির সভাপতি ইউসুফ ফকির, মহানগর সেক্রেটারি রাকিব হাসান প্রমুখ।