গাজীপুরের টঙ্গীর তা’মীরুল মিল্লাত কামিল মাদ্রাসায় শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের জের ধরে প্রতিষ্ঠানটির পাঠদান কর্যক্রম বন্ধ করেছে কতৃপক্ষ। বুধবার সকালে জরুরী নোটিশের মাধ্যমে কার্যক্রম বন্ধ করা হয়।
জানা যায়, গত কয়েক দিন যাবৎ বিভিন্ন দাবীতে আন্দোলন করছিল সাধারণ শিক্ষার্থীরা। একপর্যায়ে আন্দোলন থামাতে গিয়ে মঙ্গলবার শিক্ষার্থীদের মারধর করেন কয়েকজন শিক্ষক। এতে পরিস্থিতি আরো উত্তপ্ত হয়ে উঠে।
শিক্ষার্থীদের মারধরের অভিযোগে গভর্নিং বডির প্রধান ড. কোরবানি আলী অভিযুক্ত তিন শিক্ষককে তাৎক্ষণিকভাবে বহিষ্কারের নির্দেশ দেন। এতে পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হয়।
এর আগে, মঙ্গলবার সকাল থেকে আলিম দ্বিতীয় বর্ষের মানবিক বিভাগের শিক্ষার্থীরা বেতন বৃদ্ধি, অতিরিক্ত পরীক্ষার ফি নির্ধারণ, গরিব শিক্ষার্থীদের আর্থিক সহায়তা এবং স্কলারশিপ চালুর দাবিতে বিক্ষোভ শুরু করেন। পরে বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা আন্দোলনে যোগ দেন। শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, আন্দোলন থামাতে গিয়ে কয়েকজন শিক্ষক তাদের মারধর করেন। এতে বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হন।
বহিষ্কারাদেশের পর রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রতিক্রিয়া জানান বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীরা। তাদের দাবি, বহিষ্কৃত শিক্ষক আতিকুর রহমান বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একজন শিক্ষক। তার বহিষ্কার বিভাগটির জন্য ক্ষতিকর হবে।
বুধবার সকাল থেকে বিজ্ঞান বিভাগের শত শত শিক্ষার্থী একাডেমিক ভবনের নিচে অবস্থান নিয়ে বহিষ্কারাদেশ পুনর্বিবেচনা ও বাতিলের দাবি তোলেন। তাদের অভিযোগ, মঙ্গলবার শিক্ষকদের অবরুদ্ধ করে প্রশাসনকে চাপের মুখে সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য করা হয়েছে এবং এতে শিক্ষকদের মানহানি করা হয়েছে। এসময় শিক্ষকদের বহিষ্কারাদেশ বাতিলের দাবিতে গণসাক্ষর কর্মসূচী পালন করেন তারা। এতে কয়েক শতাধিক শিক্ষার্থী সাক্ষর করেন।
এরপর মাদ্রাসার অফিসিয়াল ফেসবুক পেইজ থেকে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। এতে জানানো হয়, গভার্নিং বডির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত শিশু শ্রেণি থেকে কামিল পর্যন্ত ক্লাস বন্ধ থাকবে এবং আলিম দ্বিতীয় বর্ষের পরীক্ষা স্থগিত করা হলো।
এ বিষয়ে প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ ড. হিফজুর রহমান বলেন, গভর্নিং বডির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত কার্জক্রম বন্ধ রাখা হয়েছে।