মঙ্গলবার ২ ডিসেম্বর ২০২৫ ১৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
মঙ্গলবার ২ ডিসেম্বর ২০২৫
চীনের অনুদানে নির্মিত হাসপাতাল নিয়ে স্বপ্নে বিভোর নীলফামারীর জনগণ
সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধি
প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ২০ নভেম্বর, ২০২৫, ৫:০৫ PM

উত্তরের জেলা নীলফামারীর বেশিরভাগ মানুষ কৃষি কাজের ওপর নির্ভরশীল। উত্তরা ইপিজেড গড়ে উঠায় এ জেলার মানুষের কিছুটা ভাগ্য বদল হয়েছে। আর এবার এই জেলায় চীনের সহায়তায় নির্মিত হচ্ছে আধুনিক ও আন্তর্জাতিক মানের ১০০০ শয্যার একটি হাসপাতাল। 

হাসপাতালটি নির্মিত হলে চিকিৎসাসেবায় অত্র এলাকায় নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হওয়ার পাশাপাশি স্বাস্থ্যসেবায় বাইরের দেশের উপর নির্ভরতা কমে যাবে। তাই, উন্নত চিকিৎসার সুবিধা প্রাপ্তির স্বপ্নে উৎসবমুখর এখন পুরো জেলাবাসী। 

সম্পূর্ণভাবে চীনা সরকারের অনুদানে গিফট প্রকল্প হিসেবে নীলফামারী সদর উপজেলার চড়াইখোলা ইউনিয়নের আরাজি দারোয়ানি মৌজার প্রায় ২৫ একর জমির ওপর ১০০০ শয্যার এই আধুনিক হাসপাতালটি নির্মাণ করা হবে। গত ৩০ অক্টোবর স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের এক নোটিশে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়। 

উন্নতমানের এ হাসপাতালে থাকবে অত্যাধুনিক অপারেশন থিয়েটার, আই.সি.ইউ, শিশু ও মাতৃস্বাস্থ্য ইউনিট, জরুরি বিভাগ, ক্যানসার ও হৃদরোগ চিকিৎসা ইউনিটসহ আধুনিক ডায়াগনস্টিক ল্যাবরেটরি। হাসপাতালটিতে থাকবে প্রশিক্ষিত চিকিৎসক, নার্স ও সহায়তা কর্মী। যাতে উত্তরবঙ্গসহ দেশের মানুষের উন্নত চিকিৎসা সেবা মিলবে। 

এই হাসপাতাল শুধুমাত্র সাধারণ হাসপাতালে সীমাবদ্ধ থাকবে না বরং উন্নত বিশেষায়িত চিকিৎসা দিতে সক্ষম হবে। এছাড়া অঙ্কোলজি (ক্যান্সার), কার্ডিওলজি (হৃদরোগ), নেফ্রোলজি (কিডনি), ডায়ালাইসিসের সার্ভিস দিতে হাসপাতালে ২০০টি ডায়ালাইসিস যন্ত্র থাকবে। 
এ হাসপাতালটি নির্মিত হলে নীলফামারী এবং তার আশপাশের এলাকার মানুষের জন্য এটি অত্যন্ত গুরুত্ব বয়ে আনবে। কারণ, বর্তমানে উন্নত বিশেষায়িত চিকিৎসার জন্য শুধু রাজধানী বা বড় শহরগুলোতে যেতে হয়, যা’ সময় ও খরচ উভয় দিকেই বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়ায়। হাসপাতালটি নির্মাণ হলে উন্নত চিকিৎসা মিলবে এতে দেশের মানুষের বাইরের দেশে গিয়ে চিকিৎসা নেওয়ার নির্ভরতা কমবে। 

চীনের এই হাসপাতালটি দৃশ্যমান হলে উত্তরবঙ্গের অর্থনীতিতে ব্যাপক সুখবর বনে আনবে। সেটিকে ঘিরে হাজার মানুষের কর্মসংস্থান হওয়ার পাশাপাশি বেকারত্ব দূরীকরণে রয়েছে ব্যাপক সম্ভবনা দেখার মিলবে। হাসপাতালটি নির্মাণ হলে জেলাজুড়ে এলাকার দ্রুত পরিবর্তন ঘটবে এবং পাল্টে যাবে অর্থনৈতিক চিত্রও। 

হাসপাতালের নির্মাণের ঘোষণার পর থেকেই এলাকার মানুষ নতুন সম্ভাবনার ইঙ্গিত পাচ্ছে। হাসপাতালটি নির্মাণ হলে সেখানে জন-সমাগম কয়েক গুণ বাড়বে। ছোট বড় ফার্মেসি, আবাসিক হোটেল, ভাড়া বাসার সংখ্যা ও নতুন উদ্যোক্তারা সেখানের বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী হবে। এছাড়া নতুন সড়ক, ড্রেন ব্যবস্থা, বিদ্যূৎ সংযোগ ও নিরাপত্তা কাঠামোর উন্নয়ন হবে। ফলে নীলফামারীর জেলার শহর থেকে গ্রামীণ জনপদ পর্যন্ত যোগাযোগ ব্যবস্থা আগের তুলনায় সহজ হবে। 

১০০০ শয্যা চিকিৎসা সেবার আধুনিক হাসপাতালকে কেন্দ্র করে দেশের বিভিন্ন স্থানের রোগী ও পর্যটকের ব্যাপক আগমন ঘটবে। অত্যাধুনিক চিকিৎসা সুবিধা, দক্ষ চিকিৎসক দল এবং সাশ্রয়ী ব্যয়ের কারণে দেশের উত্তরাঞ্চলের বড় চিকিৎসা কেন্দ্র হিসেবে দ্রুত পরিচিত পাবে এ হাসপাতালটি। হাসপাতালটি দৃশ্যমান হলে উত্তরের মানুষের ভাগ্য বদলে যাওয়ার পাশাপাশি তাদের হবে কর্মস্থান। এতে চিকিৎসা নিতে দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে হাসপাতালটিতে আসবে রোগীরা।







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ
সম্পাদক ও প্রকাশক:
মো. আশরাফ আলী
কর্তৃক এইচবি টাওয়ার (লেভেল ৫), রোড-২৩, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২।
মোবাইল : ০১৮৪১০১১৯৪৭, ০১৪০৪-৪০৮০৫৫, ই-মেইল : thebdbulletin@gmail.com.
কপিরাইট © বাংলাদেশ বুলেটিন সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত