পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, ভবিষ্যতে বড় ধরনের ভূমিকম্পের ক্ষয়ক্ষতি কমাতে এখনই সমন্বিত উদ্যোগ নেওয়া জরুরি। শুধু রাজউক নয়, সংশ্লিষ্ট সব সংস্থাকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। জননিরাপত্তার স্বার্থে প্রয়োজন হলে ব্যক্তিগত সম্পত্তির ঝুঁকি নিরূপণ ও কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণে সরকারের হস্তক্ষেপের ক্ষমতা থাকতে হবে।
আজ সোমবার রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন, বাংলাদেশ (আইইবি)–এর কাউন্সিল কক্ষে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) আয়োজিত ‘ভূমিকম্প ঝুঁকি হ্রাসে প্রস্তুতি ও করণীয়’ শীর্ষক সেমিনার ও মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, ভূমিকম্পে প্রস্তুতির পাশাপাশি মানুষকে আরও সচেতন করতে হবে। তিনি প্রস্তাব করেন যে রাজউকের পাশাপাশি থার্ড পার্টির মাধ্যমে রিস্ক অ্যাসেসমেন্ট শুরু করা যেতে পারে। বিভিন্ন এলাকায় স্থানীয়দের সহায়তায় জরিপ কার্যক্রম দ্রুত শুরু করারও আহ্বান জানান তিনি। অপেক্ষা করার সুযোগ নেই, মানুষকে আশ্বস্ত করতে হবে যে সরকার ভূমিকম্প মোকাবিলায় সক্রিয়ভাবে কাজ করছে।
তিনি বলেন, পুরান ঢাকায় ঝুঁকিপূর্ণ কেমিক্যাল কারখানা, ঘনবসতি, বিল্ডিং কোড না মানাসহ নানা কারণে এলাকাটি অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। এসব কেমিক্যাল কারখানা স্থায়ীভাবে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়ার ওপর তিনি জোর দেন। জরুরি ভিত্তিতে রিস্ক অ্যাসেসমেন্ট কাজ বিশেষ নির্দেশনার মাধ্যমে শুরু করার পরামর্শও প্রদান করেন তিনি।
সরকারি সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের ধীরগতির সমালোচনা করে পরিবেশ উপদেষ্টা বলেন, অনেক সিদ্ধান্তই বাস্তবায়নের অভাবে ঝুলে থাকে এগুলো দ্রুত বাস্তবায়ন করতে হবে। রাজউককে প্রয়োজনীয় ক্ষমতা দিয়ে প্রক্রিয়াটি সহজ করে তোলাই এখন জরুরি।
তিনি আরও বলেন, আতঙ্ক নয়, এখন প্রয়োজন পরিকল্পিত উদ্যোগ; কীভাবে কাজ শুরু করা যায়, সেটিই গুরুত্বপূর্ণ।
সভায় আরও বক্তব্য রাখেন গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় এবং শিল্প মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান এবং গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. নজরুল ইসলাম।
সভায় সভাপতিত্ব করেন রাজউক চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মো. রিয়াজুল ইসলাম। এছাড়া সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা।