গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার গোবিন্দপুর ইউনিয়নের লতিফপুর গ্রামজুড়ে উত্তেজনা বিরাজ করছে তিন মাসের অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূ ইতি বেগম হত্যাকাণ্ডকে কেন্দ্র করে।
সোমবার (১ ডিসেম্বর) বিকেল পাঁচটায় গ্রামবাসীর উদ্যোগে বিক্ষুব্ধ জনতার ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। নারী-পুরুষসহ নানা বয়সী শতাধিক মানুষ এতে অংশ নেন।
মানববন্ধনে অংশ নেওয়া লোকজন হাতে ফেস্টুন-ব্যানার নিয়ে ইতি বেগমের হত্যাকারীদের অবিলম্বে গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ফাঁসি নিশ্চিত করার দাবি জানান।
বক্তারা বলেন, একজন অন্তঃসত্ত্বা মেয়েকে নির্মমভাবে হত্যা করে বস্তায় ভরে জলাশয়ে ফেলে দেওয়া এটি নৃশংসতার চূড়ান্ত উদাহরণ। এই ঘটনার বিচার না হলে আর কোনো মেয়েই নিরাপদ নয়।
এর আগে ৩০ নভেম্বর রাতে লতিফপুর গ্রামের রাসেল শেখের বাড়ির পাশের একটি জলাশয় থেকে ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ ইতি বেগমের বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধার করে। তিনি নিখোঁজ ছিলেন টানা সাত দিন ধরে। নিখোঁজ হওয়ার পর স্বামী রাসেল শেখ ২৬ নভেম্বর থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন। ঘটনার পর থেকে তিনি পলাতক আছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
মুকসুদপুর থানার ওসি মোস্তফা কামাল বলেন, প্রাথমিকভাবে এটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড বলে মনে হচ্ছে। দ্রুত তদন্তের মাধ্যমে জড়িতদের গ্রেফতারে কাজ চলছে।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, জামালপুরের সরিষাবাড়ীর দৌলতপুর এলাকার ইতি বেগমের বিয়ে হয় প্রায় তিন বছর আগে। তিনি তিন মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন।
মানববন্ধনে গ্রামবাসীরা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, প্রকৃত অপরাধীদের শাস্তি ও বিচারের নিশ্চয়তা না পাওয়া পর্যন্ত তাদের আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।