গুজরাটের সুরাটের একটি আদালত ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে মানহানির মামলায় কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীকে দুই বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে। তবে ৩০ দিনের জামিন পেয়েছেন রাহুল। কিন্তু বিপদ রয়েছে অন্যখানে। আদালতের রায়ে দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় বাতিল হয়ে যেতে পারে তার সংসদ সদস্য (এমপি) পদ।
বিশেষজ্ঞদের মতে, সুরাট আদালতের রায়ের ভিত্তিতে রাহুল গান্ধীকে সংসদ সদস্য পদের অযোগ্য ঘোষণা করতে এবং তার ওয়ানাড কেন্দ্র শূন্য ঘোষণা করতে পারে লোকসভা সচিবালয়। এরপর আসনটিতে বিশেষ নির্বাচনের ঘোষণা দেবে নির্বাচন কমিশন।
ভারতের জনপ্রতিনিধিত্ব আইন ১৯৫১র ৮(৩) ধারায় বলা হয়েছে, সংসদ সদস্য কোনো অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হয়ে কমপক্ষে দুই বছরের সাজাপ্রাপ্ত হলে ওই পদে থাকার যোগ্যতা হারাবেন তিনি।
উচ্চতর আদালতের নির্দেশে সাজা স্থগিত না হলে এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে। তাছাড়া, কারাদণ্ডের রায় যদি উচ্চ আদালত বাতিল না করেন, তাহলে রাহুল গান্ধী আগামী আট বছর কোনো নির্বাচনে লড়তে পারবেন না বলে এনডিটিভি জানিয়েছে।
রাহুলের ঘনিষ্ঠরা জানিয়েছেন, কংগ্রেস নেতা এই রায়কে উচ্চ আদালতে চ্যালেঞ্জ করার পরিকল্পনা করছেন। সেখানে যদি সাজা স্থগিত বা আদেশ স্থগিত করার আপিল গ্রহণ করা না হয়, তাহলে তারা সুপ্রিম কোর্টে যাবেন।
বিশেষজ্ঞরা আরও বলেছেন, রাহুল গান্ধীর মতো ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪৯৯ ধারার মানহানি মামলায় দুই বছরের কারাদণ্ড দেওয়ার ঘটনা খুবই বিরল।
২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে কর্ণাটকে এক জনসভায় রাহুল বলেছিলেন, সব চোরদের পদবি ‘মোদী’ হয় কেন? আইপিএল কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্ত ললিত মোদী, ব্যাংক-ঋণ মামলায় ‘পলাতক’ নীরব মোদীর সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর তুলনা টেনেছিলেন তিনি। ওই ঘটনায় রাহুলের বিরুদ্ধে ‘পদবি অবমাননার’ অভিযোগে গুজরাটে মানহানির মামলা করেন বিজেপি নেতা পূর্ণেশ মোদী। সেই মামলাতেই দোষী সাব্যস্ত হলেন রাহুল।
বাবু/এনএইচ