সংসদ সদস্য পদ বাতিলের পর অবশেষে নীরবতা ভাঙলেন ভারতের কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। শুক্রবার (২৪ মার্চ) বিকেল ৫টা ২৭ মিনিটের দিকে এক টুইট করেন তিনি। লিখেছেন, দেশের কণ্ঠস্বরের জন্য লড়াই করছি। প্রতিটি মূল্য চোকাতে প্রস্তুত।
‘মোদী’ পদবি নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্যের কারণে বৃহস্পতিবার রাহুলকে ২ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন গুজরাটের সুরাট জেলা আদালত। তারই ভিত্তিতে ভারতীয় সংবিধানের ১০২(১)-ই অনুচ্ছেদ ও জনপ্রতিনিধিত্ব আইন (১৯৫১)-র ৮ নম্বর অনুচ্ছেদ অনুযায়ী শুক্রবার রাহুলের সংসদ সদস্য পদ খারিজ করেছেন লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা।
গত বছরের ৭ সেপ্টেম্বর ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’ কর্মসূচি শুরু করেছিলেন রাহুল। চলতি বছরের ৩০ জানুয়ারি এই কর্মসূচি শেষ হয়। এই কর্মসূচি সফল হয়েছে বলে দাবি করেছে কংগ্রেস। এই যাত্রার পুরোভাগে থেকে নজর কেড়েছেন রাহুলও। তারপর পরই আদানি বিতর্কে সরব হয়েছিলেন রাহুল। পাল্টা কংগ্রেসকে বিঁধেছিলেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্রমোদী। এই আবহে এবার রাহুলের সংসদ সদস্য পদ খারিজের পদক্ষেপ কংগ্রেস বনাম বিজেপি দ্বৈরথে নতুন মাত্রা যোগ করলো।
রাহুলের সংসদ সদস্য পদ বাতিলের প্রতিবাদে মোদী সরকারের বিরুদ্ধে একযোগে সরব হয়েছে কংগ্রেসসহ বিরোধী দলগুলো।
কংগ্রেস নেতা অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি ও জয়রাম রমেশ একযোগে জানিয়েছেন, আইনি চৌহদ্দিতে আদালতের রায়কে চ্যালেঞ্জ করার পাশাপাশি বিজেপির বিরুদ্ধে রাজনৈতিক লড়াই আরও তীব্র করা হবে। কংগ্রেসের দাবি, সত্যি কথার বলারই ‘শাস্তি’ পেলেন রাহুল।
রাহুলের পাশে দাঁড়িয়ে বিজেপিকে নিশানা করেছে তৃণমূল, সিপিএম, আম আদমি পার্টি, আরজেডির মতো বিরোধী দলগুলো। ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে যা আলাদা মাত্রা যোগ করেছে।
বাবু/ এনবি