শনিবার ১৯ জুলাই ২০২৫ ৪ শ্রাবণ ১৪৩২
শনিবার ১৯ জুলাই ২০২৫
ভারতে জাতীয় দলের মর্যাদা হারাল তৃণমূল, এনসিপি ও সিপিআই
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: মঙ্গলবার, ১১ এপ্রিল, ২০২৩, ৭:৪৪ AM
ভারতের জাতীয় দলের মর্যাদা হারালো তৃণমূল কংগ্রেস (টিএমসি), ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টি (এনসিপি) ও কমিউনিস্ট পার্টি অব ইন্ডিয়া (সিপিআই)। সোমবার দেশটির নির্বাচন কমিশনের পোল প্যানেল এক বিবৃতি জারি করে ঘোষণা দেওয়া হয় এই তিন রাজনৈতিক দলকে জাতীয় দলের মর্যাদা দেওয়া হলেও তারা সে অনুযায়ী ফল করতে পারেনি। তাই এই মর্যাদা প্রত্যাহার করা হয়েছে। এই দলগুলোকে গত দুইটি লোকসভা নির্বাচন এবং ২১ টি রাজ্যের বিধানসভার নির্বাচনে যথেষ্ট সুযোগ দেওয়া হয়েছিল। 

অন্যদিকে জাতীয় রাজনৈতিক দলের মর্যাদা পেয়েছে দিল্লির ক্ষমতাসীন দল অরবিন্দ কেজরিওয়ালের 'আম আদমি পার্টি' (আপ)। নির্বাচন কমিশনের ৬বি (iii) ধারা অনুযায়ী দিল্লি, গোয়া, পাঞ্জাব এবং গুজরাটে ভালো ফল করা এবং ওই চার রাজ্যে রাজ্য দল হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ার পরই এবার জাতীয় দলের স্বীকৃতি মিলেছে।

সেক্ষেত্রে বর্তমানে নির্বাচন কমিশনে যে নিবন্ধিত জাতীয় দল রয়েছে সেগুলো হল বিজেপি, কংগ্রেস, সিপিআইএম, বহুজন সমাজ পার্টি (বসপা), ন্যাশনাল পিপল পার্টি (এনপিপি) এবং আপ। তবে নির্বাচন কমিশনের এই ধরনের কার্যকলাপ এই প্রথম নয়। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের পর সিপিআই, বহুজন সমাজ পার্টি (বসপা), এনসিপি, তৃণমূল কংগ্রেসসহ কয়েকটি রাজনৈতিক দলকে নোটিশ জারি করে কমিশন জানতে চেয়েছিল, কেন তাদের জাতীয় দলের মর্যাদা থাকবে। যদিও সেসময় নির্বাচন কমিশন তাদের স্ট্যাটাস বাতিল করার পরিকল্পনা স্থগিত রাখে।

নির্বাচন কমিশন বিভিন্ন সময়ে জাতীয় এবং আঞ্চলিক রাজনৈতিক দলগুলোর অবস্থান পর্যালোচনা করে থাকে। তৃণমূল কংগ্রেস, এনসিপি, সিপিআই' এর জাতীয় দলের মর্যাদা থাকবে কি না সে ব্যাপারে সপ্তাহ খানেক আগেই একটি পর্যালোচনা বৈঠক করেন নির্বাচন কমিশন। সেখানে জাতীয় দলের মর্যাদা ধরে রাখার মানদণ্ড পূরণ করতে পারেনি এই দুই দল। 

কোনো রাজনৈতিক দল জাতীয় দলের মর্যাদা পেলে বিভিন্ন ধরনের সুযোগ-সুবিধা পেয়ে থাকে। রাজ্য জুড়ে একটি সাধারণ দলীয় প্রতীক, পাবলিক ব্রডকাস্টারে নির্বাচনের সময় ফ্রি এয়ার টাইম, দিল্লিতে সংশ্লিষ্ট রাজনৈতিক দলের পার্টি অফিসের জন্য জায়গা ইত্যাদি। 

নির্বাচনী প্রতীক (সংরক্ষণ ও বরাদ্দ) আদেশ ১৯৬৮ অনুযায়ী কয়েকটি বিষয়ের উপরই একটি রাজনৈতিক দল জাতীয় দলের স্বীকৃতি পেতে পারে। এগুলো হল একটি দলকে চার বা তার বেশি রাজ্যে লোকসভা ও বিধানসভার ভোটে কমপক্ষে শতকরা ৬ শতাংশ ভোট পেতে হবে। দ্বিতীয়ত সেই রাজনৈতীক দলকে অন্তত চারটি রাজ্যে রাজ্য দল হিসেবে স্বীকৃত হতে হবে। তৃতীয়ত সেই দলের কাছে মোট লোকসভা আসনের কমপক্ষে ২ শতাংশ ভোট থাকতে হবে এবং এর প্রার্থীদের অন্তত তিনটি আলাদা রাজ্য থেকে জিততে হবে। 

এর পাশাপাশি নির্বাচন কমিশনের বিবৃতি জারি করে একাধিক রাজনৈতিক দলের অঞ্চালিক দলের মর্যাদা প্রত্যাহার করা হয়েছে। এর মধ্যে  উত্তরপ্রদেশে 'রাষ্ট্রীয় লোক দল' (আরএলডি), অন্ধ্রপ্রদেশে 'ভারত রাষ্ট্র সমিতি' (বিআরএস), মনিপুরে 'পিপলস্ ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স' (পিডিএ), পদুচেরিতে 'পাত্তালি মাক্কাল কাতচি' (পিএমকে), পশ্চিমবঙ্গে 'রিভোলিউশনারি সোসালিস্ট পার্টি' (আরএসপি) এবং মিজোরামে 'মিজোরাম পিপলস কনফারেন্স' (এমপিসি) আঞ্চলিক দলের মর্যাদা হারিয়েছে। আবার নাগাল্যান্ডে 'লোক জনশক্তি পার্টি' (রাম বিলাস), মেঘালয়ে 'ভয়েস অফ পিপল পার্টি', ত্রিপুরায় 'তিপ্রা মোথা' আঞ্চলিক দলের স্বীকৃতি পেয়েছে।

বাবু/এ আর 
« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »


Also News   Subject:   ভারত   তৃণমূল   এনসিপি   সিপিআই  







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ
সম্পাদক ও প্রকাশক:
মো. আশরাফ আলী
কর্তৃক এইচবি টাওয়ার (লেভেল ৫), রোড-২৩, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২।
মোবাইল : ০১৪০৪-৪০৮০৫২, ০১৪০৪-৪০৮০৫৫, ই-মেইল : thebdbulletin@gmail.com.
কপিরাইট © বাংলাদেশ বুলেটিন সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত