সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত সার্জেন্ট বাবুল হোসেনকে হত্যাচেষ্টা ও চাঁদাবাজির মামলায় মো. নাজিম উদ্দিন ভূইয়া নামে এক আসামিকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
গতকাল সোমবার (১ মে) ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালত এ আদেশ দেন। এর আগে, এদিন সকালে রাজধানীর মিরপুর ডিওএইচএস এলাকা থেকে নাজিম উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
গত ১৯ এপ্রিল বাবুল হোসেন ক্যান্টনমেন্ট থানায় মামলাটি করেন। মামলার অপর আসামিরা হলেন মো. সাইফুল ইসলাম, মো. রেজাউল, শামীম হোসেন, তাজুল ইসলাম তাজ, মো. মনির, নয়ন আলী, মো. শামসুল হক, মো. মিলন মিয়া, মো. শাহ আলম ও মো. ইব্রাহিম আকন্দ ওরফে বাবুসহ অজ্ঞাতনামা আরও ৮ থেকে ১০ জন।
মামলার এজাহারে বলা হয়, প্রায় ১৫০ জন অবসরপ্রাপ্ত সামরিক বাহিনীর সদস্যরা রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট থানাধীন তিন হাজার ৭৯৭ শতাংশ জমি কিনে ২০১৮ সাল থেকে সেখানে পাকা স্থাপনা নির্মাণ করে বসবাস করছেন। দীর্ঘদিন ধরে মো. নাজিম উদ্দিন ভূইয়ার নেতৃত্বে অন্যান্য আসামিরা এই জমিটি দখলের চেষ্টা করছে। ওই জমি জোরপূর্বক দখলের চেষ্টায় মারধর ও টাকা ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় ক্যান্টনমেন্ট থানায় আসামিদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা ও সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে।
তদন্ত শেষে আসামিদের বিরুদ্ধে ওইসব মামলায় চার্জশিট (অভিযোগপত্র) ও ননএফআইআর প্রসিকিউশন মামলাও দাখিল করা হয়েছে। এসব মামলায় নাজিম উদ্দিন কিছুদিন জেলও খেটেছেন। মামলাগুলোয় জামিন পেয়ে আসামিরা গত ১৭ এপ্রিল রাত ৮টার দিকে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ওই জমিতে এসে অবসরপ্রাপ্ত সার্জেন্ট মো. বাবুল হোসেনকে খুঁজতে থাকে ও ভয়ভীতি দেখাতে থাকে। বাবুল হোসেনের বাসার কেয়ারটেকার মো. দেলোয়ার হোসেন তাদের এমন আচরণের প্রতিবাদ করলে আসামি নাজিম উদ্দিন ৫০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন বলে অভিযোগ করা হয়। অন্যথায় জমিতে আসতে নিষেধ করে।
অভিযুক্তদের ভাঙচুর ও হৈহুল্লোড়ে বাবুল হোসেনসহ অন্যান্য লোকজন ঘটনাস্থলে গেলে আসামিরা বাবুল হোসেনের ওপর আক্রমণ করে।
-বাবু/এ.এস