শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ীদের তালিকা দাখিলের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়েছে। একইসঙ্গে রিটে মাদক কেনাবেচার মাধ্যমে ‘বছরে ৫ হাজার কোটি টাকা পাচার’-এর ঘটনা অনুসন্ধানের নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৩ জুন) সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সুবীর নন্দী দাস হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ রিট দায়ের করেন। পরে রিটকারী জানান, আবেদনটি বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চে শুনানি হতে পারে।
রিটে মাদক বেচাকেনার মাধ্যমে বছরের কোটি কোটি টাকার অর্থপাচার ঠেকাতে বিবাদীদের ব্যর্থতাকে কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারির আরজি জানানো হয়েছে আবেদনে।
আইন মন্ত্রণালয় সচিব, অর্থ মন্ত্রণালয় সচিব, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সচিব, দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক), বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, বিএফআইইউ, পুলিশের মহাপরিদর্শক, এনবিআর ও সিআইডিসহ ১২টি সংস্থা ও ব্যক্তিকে বিবাদী করা হয়েছে।
এর আগে ‘মাদক ব্যবসার কারণে বছরে পাচার ৫ হাজার কোটি টাকা’ শিরোনামে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়। পরে সেসব প্রতিবেদন যুক্ত করে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়।
পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশ থেকে মাদকের কারণে প্রতিবছর পাচার হয়ে যায় ৪৮১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বা প্রায় ৫ হাজার ১৪৭ কোটি টাকা। আর মাদক কেনাবেচা করে অর্থপাচারের দিক থেকে বাংলাদেশের অবস্থান বিশ্বে পঞ্চম। এশিয়ার দেশগুলো বিবেচনায় নিলে মাদকের মাধ্যমে টাকা পাচারের ঘটনায় বাংলাদেশ একেবারে শীর্ষে রয়েছে। অবশ্য পাচার করা টাকার হিসাব অনুমানভিত্তিক, এটি করেছে জাতিসংঘের বাণিজ্য ও উন্নয়ন বিষয়ক সংস্থা আংকটাড।
-বাবু/এ.এস