পৃথক অভিযানে বাংলাদেশিসহ ৩২ জন অনিয়মিত অভিবাসীকে আটক করেছে রোমানিয়া কর্তৃপক্ষ। গ্রেপ্তারদের মধ্যে ভারত ও পাকিস্তানের নাগরিকরাও রয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে বুখারেস্ট।
রোমানিয়া জেনারেল ইনস্পেক্টরেট ফর ইমিগ্রেশনের তথ্য ও জনসংযোগ কার্যালয় বুধবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, মঙ্গলবার হাঙ্গেরি সীমান্তের নিকটবর্তী দেশটির আরাদ ইমিগ্রেশন সার্ভিসের সদস্যরা ভারত ও পাকিস্তানের ২০ অভিবাসীকে আটক করেছে। অভিবাসীদের সবাই ১৯ থেকে ৩৫ বছর বয়সী। তাদের মধ্যে ১২ জন ভারতের এবং ৮ জন পাকিস্তানের নাগরিক।
আইজিআই আরও জানায়, রোমানিয়া থেকে ফেরত না পাঠানো পর্যন্ত এসব অভিবাসীকে আরাদব ইমিগ্রেশন সার্ভিসের আবাসন কেন্দ্রে আটক রাখা হবে। তারা প্রতারণার মাধ্যমে রোমানিয়া থেকে শেঙেন সীমান্তে প্রবেশের চেষ্টা করেছিলেন।
বুধবার আরেকটি বিবৃতিতে রোমানিয়া সীমান্ত পুলিশ জানিয়েছে, নাদলাক বর্ডার পয়েন্ট থেকে একটি ভ্যানে লুকিয়ে থাকা বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও ভারতের ১২ জন নাগরিককে শনাক্ত করেছে স্থানীয় সীমান্তরক্ষীরা। এসব অভিবাসীও অবৈধভাবে হাঙ্গেরি সীমান্ত অতিক্রম করার চেষ্টা করেছিলেন বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
অভিবাসীদের পরিবহন করা গাড়িটির চালকের বিরুদ্ধে অভিবাসী পাচারের দায়ে বিচারিক তদন্ত শুরু হয়েছে। ১৯ বছর বয়সী চালক রোমানের নাগরিক। তিনি রোমানিয়ায় নিবন্ধিত ভ্যান নিয়ে কাস্টমস পয়েন্টে হাজির হয়েছিলেন। তিনি প্রাথমিকভাবে রোমানিয়া-ফ্রান্স রুটে পণ্য পরিবহনের তথ্য দিয়েছিলেন। তবে তার অতীত রেকর্ড ঝুঁকিপূর্ণ মনে হওয়ায় গাড়িটি তল্লাশি করার সিদ্ধান্ত নিলে সেখান থেকে অভিবাসীদের আটক করা হয়। সংশ্লিষ্ট অভিবাসীদের তদন্তের জন্য সীমান্ত অঞ্চলের পুলিশ সদর দপ্তরে নেওয়া হয়।
জিজ্ঞাসাবাদের পর পুলিশ জানায়, অভিবাসীরা বাংলাদেশ, পাকিস্তান এবং ভারতের নাগরিক। তারা বৈধভাবে রোমানিয়ায় এসেছিলেন। তবে তাদের চূড়ান্ত গন্তব্য ছিল বেআইনিভাবে পশ্চিম ইউরোপের কোনো একটি দেশে পৌঁছানো।
উভয় ক্ষেত্রেই অভিবাসীদের নিজ নিজ দেশে ফেরত পাঠানোর সময় রোমানিয়ায় বিদেশিদের অধিকার সংক্রান্ত সংশোধিত কার্যবিধির জিইও নং ১৯৪/২০০২-এর অধীনে সংশ্লিষ্টদের সবাইকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সবগুলো সদস্য রাষ্ট্র, ইউরোপীয় অর্থনৈতিক এলাকা এবং সুইস কনফেডারেশনে প্রবেশে পাঁচ বছরের জন্য নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হবে।
সূত্র : ইনফোমাইগ্রেন্টস
বাবু/জেএম