মঙ্গলবার (৫ মার্চ) রাতে দ্বাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশনের সমাপনী বক্তব্যে এ কথা জানান শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ভোট দিয়ে আওয়ামী লীগকে পুনরায় দেশসেবার সুযোগ দেয়ায় জনগণের প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই। এখন লক্ষ্য নির্বাচনী ইশতেহার বাস্তবায়ন করা।’
‘সরকার গঠনের পর মন্ত্রিসভার বৈঠক হয়েছে। সব মন্ত্রণালয় বিভাগ সমন্বয় করে দেশের মানুষের কল্যাণে কাজ করে যাব। দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করছি, যোগ করেন তিনি।
নিত্যপণ্যের দাম বেড়ে যাওয়া প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, অবৈধ মজুতের কারণে রমজান উপলক্ষে পণ্যমূল্য অদ্ভুতভাবে বেড়ে গেছে। তবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে চেষ্টা চালানো হচ্ছে। পাশাপাশি বাজেট প্রণয়নের সময় অবশ্যই নির্বাচনী ইশতেহারের বিষয়গুলো প্রাধান্য দেয়া হবে বলেও জানান তিনি।
আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, জনকল্যাণ মাথায় রেখে যথাযথ প্রকল্প বাস্তবায়নে প্রত্যেক মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। সরকারি ক্রয়ে স্বচ্ছতা-জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা হবে। দুর্নীতি প্রতিরোধে জিরো টলারেন্স থাকবে। রফতানি বহুমুখীকরণে সব দূতাবাসকে নির্দেশ দিয়েছি।
মাদক সমস্যা নিরসনে সমাজকেই এগিয়ে আসতে হবে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ইদানীং ঘটে যাওয়া অগ্নিকাণ্ডগুলো দুর্ঘটনা। কিন্তু রাজনীতি ও নির্বাচন ঠেকানোর নামে জীবন্ত মানুষকে কী করে পুড়িয়ে মারতে পারে? নির্বাচন ঠেকানো মানেই বিএনপির কাছে অগ্নিসন্ত্রাস আর জাতীয় সম্পদ নষ্ট করা। এই তো তাদের রাজনীতি।’
‘এক মিলিটারি ডিক্টেটর (জিয়াউর রহমান) ভোট চুরি করে ক্ষমতা দখল দেখিয়ে গেছে। আরেক ডিক্টেটর (এরশাদ) এসে তারই পদাঙ্ক অনুসরণ করেছিল। বিরোধী দলীয় নেতা (জিএম কাদের) যদি তার ভাইয়ের আমলের ভোটের কথা মনে করে দেখতেন,’ যোগ করেন শেখ হাসিনা।