শনিবার ২৮ জুন ২০২৫ ১৪ আষাঢ় ১৪৩২
শনিবার ২৮ জুন ২০২৫
আখাউড়ায় লাঠি হাতে যৌন কর্মীদের ধাওয়া
আখাউড়া ( ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি
প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ২১ মার্চ, ২০২৪, ৫:৩৬ PM
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় পতিতাবৃত্তি যেন ওপেন সিক্রেট। বিশেষ করে গত কয়েকমাস ধরে আখাউড়া রেলওয়ে জংশন স্টেশন ও এর আশেপাশে পতিতাদের ব্যাপক আনাগোনা চোখে পড়ে। এছাড়া সড়ক বাজার এলাকার দু’টি আবাসিক হোটেলে পতিতাদের নিয়মিত যাতায়াত রয়েছে।

এ নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছিলো। আবাসিক হোটেলে থানা ‍পুলিশ দুই-একবার অভিযান চালালেও পতিতাবৃত্তি কমেনি। তবে রেলওয়ে পুলিশ এ বিষয়ে কোনো ধরণের ব্যবস্থাই নিচ্ছিলো না বলে অভিযোগ উঠে।

এ অবস্থায় পতিতাদের লাঠি হাতে দৌঁড়িয়েছে স্থানীয় লোকজন। বুধবার রাত নয়টা থেকে ১০টা পর্যন্ত আখাউড়া রেলওয়ে স্টেশন এলাকায় স্থানীয় লোকজন এ অভিযান চালায়। এ সময় পতিতা ও তাদের খদ্দেররা দৌঁড়ে পালিয়ে যায়। 

আওয়ামী লীগ নেতা মো. বাবুল পারভেজ, যুবলীগ নেতা মো. মনির খান, আবু কাউছার ভূঁইয়া, মো. মনির হোসেন, ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক মেম্বার মো. আব্দুল হান্নান, মুক্তিযোদ্ধা সন্তান দীপংকর ঘোষ নয়ন প্রমুখ। তারা রেলওয়ে স্টেশনের বিভিন্ন প্রান্তে ঘুরে পতিতা ও খদ্দেরকে সরিয়ে দেন। 

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত কয়েকমাস ধরে স্টেশন এলাকায় অন্তত ২০-৩০ পতিতা নিয়মিত অবস্থান নেয়। তারা স্টেশনের ওভারব্রিজসহ বিভিন্নস্থানে দাঁড়িয়ে খদ্দের খোঁজে। বিশেষ করে বৃহস্পতিবার দিন তাদের তৎপরতা বেড়ে যায়। ওইদিন খড়মপুর মাজার শরীফের অনেক ভক্তের আগমন ঘটে। তাদেরকে টার্গেট করে পতিতারা তৎপরতা বাড়ায়। পতিতাদের পোশাক, সাজগোজ ও অংগভংগিতে বিব্রতবোধ করেন সাধারণ মানুষ ও যাত্রীরা। রমজান শুরু হলে এ নিয়ে মানুষের মাঝে ক্ষোভ বেড়ে যায়।

এদিকে পতিতাবৃত্তির বিষয়টি জানিয়ে দু’দিন আগে রেলওয়ে থানা পুলিশকে অবহিত করেন যুবলীগ নেতা আব্দুল মমিন বাবুল। কিন্তু পুলিশ কোনো ধরণের ব্যবস্থা নেয়নি। স্থানীয় সাংবাদিক রাকেশ কুমার ঘোষ এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে স্ট্যাটাসও দেন। এতেও পুলিশ কর্ণপাত করেননি।

বুধবার রাতের অভিযানে থাকা উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল মমিন বাবুল ও যুবলীগ নেতা মো. মনির খান বলেন, রেলওয়ে পুলিশকে বিষয়টি অবগত করেন। কিন্তু তারা কর্ণপাত করেননি। অনেক সময় দেখা যায় পুলিশের সামনেই পতিতা ও খদ্দেররা আলোচনা করেন। এ অবস্থায় বিষয়টি নিয়ে আমরা আওয়ামী লীগ নেতা মনির হোসেন বাবুলের সঙ্গে কথা বলি। পরে কয়েকজন মিলিত হয়ে লাঠি হাতে পতিতা ও খদ্দেরকে ধাওয়া করি। আমরা চাই রেলওয়ে পুলিশ এ বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নিক।’

উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. আব্দুল মমিন বাবুল বলেন, ‘পতিতাদের আনাগোনা বেড়ে যাওয়ার বিষয়টি আমি ও আওয়ামী লীগ নেতা মনির হোসেন বাবুল রেলওয়ে পুলিশের অবহিত করি। কিন্তু কোনো কাজ হয়নি। একজন পুলিশ এলেও তিনি এসে বসে থাকেন। এ অবস্থায় আওয়ামী লীগ, যুবলীগের কয়েকদিন মিলে তাদেরকে প্রতিহত করেছে।’

আখাউড়া রেলওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি)  মো. জসিম উদ্দিন খন্দকার বলেন, ‘পতিতারা মূলত স্টেশনের বাইরের এলাকায় থাকে। আমাকে অবহিত করার পর সামাজিকভাবে প্রতিরোধের কথা বলেছিলাম। আইনগত ব্যবস্থার চেয়ে এভাবে প্রতিরোধ বেশি কাজে লাগে। বুধবার রাতে পতিতাদের প্রতিরোধের কথা আমি শুনেছি।

« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ
সম্পাদক ও প্রকাশক:
মো. আশরাফ আলী
কর্তৃক এইচবি টাওয়ার (লেভেল ৫), রোড-২৩, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২।
মোবাইল : ০১৪০৪-৪০৮০৫২, ০১৪০৪-৪০৮০৫৫, ই-মেইল : thebdbulletin@gmail.com.
কপিরাইট © বাংলাদেশ বুলেটিন সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত